• সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন
  • |
  • |
Headline :
মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় হার্বেক্স এন্ড কোং (ইউনানী) এর কর্মকর্তা মোঃ হাসিবুর রহমান পাপ্পু নিহত ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে পাবনায় বৃদ্ধ গ্রেফতার প্রকাশ্যে পুলিশের সামনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-যুবলীগের মিছিল খালে ভাসছিল সবজি বিক্রেতার মরদেহ বেড়েছে খেজুর চিনি ছোলার, কমেছে পেঁয়াজের রোজায় বাড়তি চাহিদার পণ্য মাওলানা ভাসানী ছিলেন মেহনতী মানুষের মুক্তির দিশারী- এ্যাড. শিমুল বিশ্বাস শেখ হাসিনার রায় ঘিরে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার দিনাজপুরে শীতকালীন বাদাম চাষে আগ্রহী হচ্ছে গোপালগঞ্জ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত পিরোজপুরে কলেজ ভাঙচুর জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

সরবরাহ বাড়লেও স্বস্তি নেই সবজিতে, বাড়ছে আলুর দাম

স্পষ্টবাদী ডেস্ক / ৫০ Time View
Update : শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫
সরবরাহ বাড়লেও স্বস্তি নেই সবজিতে, বাড়ছে আলুর দাম
সরবরাহ বাড়লেও স্বস্তি নেই সবজিতে, বাড়ছে আলুর দাম

চলতি মাসের শুরুতেই বাজারে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম ও মুলাসহ বেশ কিছু শীতকালীন সবজি এসেছে। এতে তখন বাজার কিছুটা শীতল হয়। ৫০ থেকে ৬০ টাকায় মেলে বেশিরভাগ সবজি। এখন শীতের সবজির বাজারে সরবরাহ আরও বেড়েছে; কিন্তু হিতে বিপরীত হয়েছে। দাম না কমে অন্তত ৩০ টাকা বেড়েছে। কিছু পণ্যে দাম ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বছরের শেষ দিকেও বাড়ছে আলুর দাম। তবে কমেছে ডিমের দাম। উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে চালের বাজার।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, করলা, পটোল, ঝিঙা ও ধুন্দল ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ সপ্তাহখানেক আগে এসব সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে কিনতে পেরেছেন ক্রেতারা।

ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। আর গত সপ্তাহে শীতকালীন এ দুটি সবজি প্রতিটি ৩০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়াও ১০ টাকা বেড়ে বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে লাউ ও মরিচ মিলছে আগের দামেই। লাউ প্রতিটি ৬০ টাকা এবং মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে।

এদিকে, সপ্তাহখানেক আগে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া শিম বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া লম্বা বেগুন আজ কিনতে হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। সবুজ গোল বেগুনের দামও ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। তবে তাল বেগুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে, প্রতি কেজি ১৪০ টাকা।

বাজারে উচ্ছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা বেড়ে ১১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। কচুর লতির দাম ১০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা প্রতি কেজি। শসার দামও ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুলার দাম ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজি কিনতে আসা ক্রেতা আনিসুর রহমান বলেন, ‘শীতের সবজির দাম কমার কথা ধীরে ধীরে; কিন্তু দাম বেড়ে গেল। এটা কীভাবে হলো বুঝলাম না। সব ধরনের সবজির দাম আজকের বাজারে বেশি।’

উৎপাদিত সবজির সঙ্গে সঙ্গে আমদানি করা পণ্যের দামও বেড়েছে। আমদানি করা পাকা টমেটোর দাম ১০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা এবং গাজরের দাম ২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বছরজুড়ে ক্রেতারা সবচেয়ে কম দামে যেই সবজি কিনেছেন তা হলো পেঁপে। প্রতি কেজি ৩০ টাকায় ক্রেতারা পাচ্ছেন। বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বাজারে শিম কম। তাই দাম বাড়ছে। আর শীতের সবজি বাজারে গত কয়েক দিনের তুলনায় অল্প বাড়লেও অন্যান্য নিয়মিত সবজি কমে গেছে। এবারের বন্যা আর বৃষ্টিতে গাছের অনেক ক্ষতি হয়েছে। চাষাবাদে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।’

বাজারে আলুর দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়ে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা কেজি দরে। কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ ১১৫ টাকায় মিললেও পাড়া-মহল্লায় ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে।

আলু-পেঁয়াজ বিক্রেতা নাজমুল হাসান বলেন, ‘আলুর দাম সামনে আরও বাড়বে। পুরোনো আলু বাজারে কমে গেছে। নতুন আলু উঠলে পুরোনো আলুর দাম বাড়বে। এখন ৫ টাকা করে বাড়ছে গত তিন দিন ধরে। আর পেঁয়াজের দাম এখনো তেমন কমেনি।’

দাম অপরিবর্তিত রয়েছে আদা ও রসুনে। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা এবং দেশি রসুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। থাইল্যান্ডের আদা ২০০ টাকা এবং চায়না আদা ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ৫ টাকা কমে ডজনপ্রতি লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। তবে হালি হিসেবে আগের দাম ৪৫ টাকাতেই কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

মুরগির দামেও তেমন পরিবর্তন আসেনি। বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় এবং হাইব্রিড সোনালি পাওয়া যাচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগেও একই দরে মুরগি কিনেছেন ক্রেতারা।

বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দামে পরিবর্তন দেখা গেলেও উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে চালের দাম। পাইকারিতে কোনো চাল ৫৮ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না। খুচরা বাজারে ক্রেতাদের এসব চাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পাইজাম ও আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় এবং মিনিকেট ৭৬ থেকে ৮০ টাকায়। খুচরা বাজারে এসব চাল অন্তত ৫ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। বাজারে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category