আটিগ্রামের কৃষক আজিজুর রহমান বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে মোঘল জাতের করলা চাষ করে ২ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করেছি। মালচিং ফিল্ম ব্যবহার করলে আগাছা কমে, পানি ধরে রাখা সহজ হয় এবং ফলনও বেড়ে যায়। এবার আগের সব মৌসুমের তুলনায় লাভ অনেক বেশি। মুনঝারের কৃষক কাবিল হোসেন জানান, ১৬ শতাংশ জমিতে করলা চাষ করে ১ লাখ টাকার মতো বিক্রি করেছি।
আগে এত লাভ কল্পনাও করতে পারিনি। এখন আমাদের গ্রামের অনেক কৃষকের আয়ের প্রধান উৎস করলা চাষ। ক্ষেতলাল উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরুল হোসাইন বলেন, মালচিং ফিল্ম ব্যবহার করলে কৃষকরা তুলনামূলকভাবে বেশি লাভবান হয়েছেন। মাটি আর্দ্র থাকে, আগাছা কমে ও গাছের ফলন বাড়ে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সাদিকুর রহমান জানান, রাসায়নিক সারের পাশাপাশি কৃষকেরা জৈব সার ব্যবহার করায় গাছ সতেজ থাকে, রোগবালাই কমে। এতে ফলন ও মান দুটোই ভালো হয়।
ক্ষেতলাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুর রহমান বলেন, আমরা কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে উৎসাহিত করছি। করলা এখন এখানকার জন্য লাভজনক ফসল হিসেবে নতুন দিগন্ত খুলেছে। আগামী মৌসুমে চাষের পরিধি আরো বাড়বে বলে আশা করছি।
সবুজে মোড়া ক্ষেতলালের করলা ক্ষেত এখন এক অনুপ্রেরণার গল্প। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, পরিশ্রম ও সঠিক পরামর্শে এই ত্রিমাত্রিক সাফল্যের ফলেই বদলে যাচ্ছে কৃষকের জীবনচিত্র।