• রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৬ অপরাহ্ন
  • |
  • |
Headline :
নীলফামারীতে ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের চলাচল নদী দখল-দূষণকারীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবি নদীকর্মী ও বিশেষজ্ঞদের গুইমারায় শিম চাষে ভিডিপি সদস্যদের ভাগ্যবদল ইলিশ কেনাবেচায় সরগরম চাঁদপুরের মাছঘাট ক্ষেতলালে করলা চাষে সফলতা, লাভ বাড়ছে কৃষকের পাবনায় বাঁশবোঝাই ট্রাক উল্টে দুই শিশু শিক্ষার্থীসহ নিহত তিন “পাবনা সোসাইটি”-এর উদ্যোগে ঐক্যবদ্ধ রাজনীতির অঙ্গীকার পিরোজপুরে তাহসিন শিক্ষা পরিবারের আয়োজনে সবক প্রদান ও অভিভাবক সম্মেলন পরিচ্ছন্ন শহর গড়ার অঙ্গিকা শ্যামনগর পৌরসভার বর্জ্য অপসারণের জন্য ১ম বারের মতো যুক্ত হলো ভ্যান গাড়ি নীলফামারী ডিমলায় গণঅধিকার পরিষদের ৭ নেতাকর্মী জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান

ক্ষেতলালে করলা চাষে সফলতা, লাভ বাড়ছে কৃষকের

স্পষ্টবাদী ডেস্ক / ২০ Time View
Update : রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫
ক্ষেতলালে করলা চাষে সফলতা, লাভ বাড়ছে কৃষকের
ক্ষেতলালে করলা চাষে সফলতা, লাভ বাড়ছে কৃষকের

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় এবার মাঠজুড়ে সবুজ করলার সমারোহ দেখা যাচ্ছে। এ বছর ৫০ হেক্টর জমিতে করলা চাষ হয়েছে এবং ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে। পজেলার আটিগ্রাম, মুনঝার, মিনিগাড়ি, আয়মাপুর, দেওগ্রাম, ঘুগইল, হিন্দা ও বাখেরা এলাকায় সবচেয়ে বেশি করলা চাষ হয়েছে। মোঘল, গ্লোরি, নবাব ও কাবেরী–৮৮ জাতের মধ্যে ‘মোঘল’ জাতের করলার ফলন ও বাজারমূল্য সবচেয়ে বেশি।

আটিগ্রামের কৃষক আজিজুর রহমান বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে মোঘল জাতের করলা চাষ করে ২ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করেছি। মালচিং ফিল্ম ব্যবহার করলে আগাছা কমে, পানি ধরে রাখা সহজ হয় এবং ফলনও বেড়ে যায়। এবার আগের সব মৌসুমের তুলনায় লাভ অনেক বেশি। মুনঝারের কৃষক কাবিল হোসেন জানান, ১৬ শতাংশ জমিতে করলা চাষ করে ১ লাখ টাকার মতো বিক্রি করেছি।

আগে এত লাভ কল্পনাও করতে পারিনি। এখন আমাদের গ্রামের অনেক কৃষকের আয়ের প্রধান উৎস করলা চাষ। ক্ষেতলাল উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরুল হোসাইন বলেন, মালচিং ফিল্ম ব্যবহার করলে কৃষকরা তুলনামূলকভাবে বেশি লাভবান হয়েছেন। মাটি আর্দ্র থাকে, আগাছা কমে ও গাছের ফলন বাড়ে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সাদিকুর রহমান জানান, রাসায়নিক সারের পাশাপাশি কৃষকেরা জৈব সার ব্যবহার করায় গাছ সতেজ থাকে, রোগবালাই কমে। এতে ফলন ও মান দুটোই ভালো হয়।

ক্ষেতলাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুর রহমান বলেন, আমরা কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে উৎসাহিত করছি। করলা এখন এখানকার জন্য লাভজনক ফসল হিসেবে নতুন দিগন্ত খুলেছে। আগামী মৌসুমে চাষের পরিধি আরো বাড়বে বলে আশা করছি।

সবুজে মোড়া ক্ষেতলালের করলা ক্ষেত এখন এক অনুপ্রেরণার গল্প। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, পরিশ্রম ও সঠিক পরামর্শে এই ত্রিমাত্রিক সাফল্যের ফলেই বদলে যাচ্ছে কৃষকের জীবনচিত্র।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category