আলমবিদিতর ইউনিয়নের কুতুব হাজীরহাটের নাজমুল আমিন নামে এক ব্যক্তি বলেন, হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে আমার পাকা ঘর ভেঙে গেছে। ঘরের টিন উড়ে গেছে। তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আমার ছেলে মাফির মাথা ফেটেছে ও পা ভেঙেছে। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নোহালী ইউনিয়নের সরদারপাড়ার ফনি বেওয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বাপের দুইটা ঘর মোর, দুইটায় উড়ি গেইছে। এলা কোটে থাকং মুই। নোহালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফ আলী বলেন, ইউনিয়নে প্রায় ৪০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। আলমবিদিতর ইউনিয়নের প্রশাসক ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান চয়ন বলেন, ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ইতিমধ্যে শুকনা খাবার বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আহতদের সুচিকিৎসা এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বাড়িঘর সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।