অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো মুহূর্তের মধ্যে সর্বস্ব হারিয়ে নিরুপায় হয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাসে বাধ্য হয়। পুড়েযাওয়া বাড়ির মধ্যে পড়ে আছে কেবল ভাংগাচোরা কিছু টিন ও আসবাবপত্রের ছাই। ক্ষতিগ্রস্ত মোঃ লুৎফর রহমান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার শেষ সম্বল বলতে আর কিছুই রইলোনা।”
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে নীলফামারী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নীলফামারী সদর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোঃ মিয়ারাজ উদ্দিন জানান, “অগ্নিকাণ্ডের আতঙ্কে ভাংগাচোড়ার অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ধারনা করা যাচ্ছে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে।”
গ্রামবাসীর দাবি, দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা না করলে তারা মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের জরুরি ত্রাণ সহায়তার দাবি জানিয়েছে দুর্গত পরিবারগুলো।
এদিকে খবর পেয়ে দ্রূত ছুটে যান নীলফামারী -২ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এ্যাড. আলফারুক আব্দুল লতিফ। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং প্রাথমিক খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন।ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সার্বিকবিষয়ে সহযোগীতার আশ্বাস দেন। এছাড়াও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ.এইচ.এম সাইফুল্লাহ রুবেল।