এলাকাবাসি জানায়, দপ্তরী মিঠুন রায় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিল। আওয়ামী লীগের শাসনামলে সে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে চলাফেরা করত। ২৪ এর ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শুরু থেকেই সে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেন। অদ্যাবদি সে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে করে বিদ্যালয়টির দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী বাসিন্দা তমিজার রহমান, সুনীল রায়, মুন ইসলাম, রিয়াজ ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেনসহ অনেকে জানায়, মিঠুন রায় ১ বছরের বেশি সময় ধরে মিঠুন বিদ্যালয়ে যায় না। সে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করত। তার নামে একাধিক মামলাও রয়েছে। শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে সে উধাও হয়ে যায়। সম্প্রতি তাকে বিদ্যালয়ের আশপাশে দেখা যাচ্ছে।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রায়হানা রাব্বী জানান, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ২০২৪ সালের জুলাই থেকে অদ্যাবদি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত মিঠুন রায়। সম্প্রতি সে বিদ্যালয়ে এসে জোরপূর্বক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে চায়। আমি না দিলে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন। এছাড়া সে নিজেই আলাদা হাজিরা খাতা নিয়ে এসে তাতে স্বাক্ষর করছেন বলে জানাযায়।
সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জসিজুল ইসলাম মন্ডল শালমারা গোড়েকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী মিঠুন রায় দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এছাড়া তার বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে।