তিনি আরো বলেন, ওএমআর মেশিনের মাধ্যমে গণনার প্রস্তুতি থাকলেও প্রার্থীদের আবেদনের কারণে ম্যানুয়ালি গণনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা স্বাভাবিকভাবেই বেশি সময় নিচ্ছে।
ভোট গ্রহণে দেরি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে রাশিদুল আলম বলেন, সকাল ৯টায় ভোট শুরুর কথা থাকলেও দু’টি হলে দেরি হয়, আবার কয়েকটি হলে মাঝপথে ভোট স্থগিত থাকে। বড় দুটি হলে দুপুর পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি ছিল কম, তবে বিকেল সাড়ে চারটার পর হঠাৎ ভিড় বাড়ে। নিয়ম মেনে সবাইকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়ায় ওই কেন্দ্রগুলো থেকে ব্যালট বাক্স কমিশনে পৌঁছায় রাত সাড়ে ৯টার পর। সব কেন্দ্রের বাক্স আসার পর রাত ১০টা থেকে গণনা শুরু হয়।
তিনি আরও জানান, ম্যানুয়াল গণনায় শুরুতে ধীরগতি থাকলেও এখন গতি বেড়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়।
উল্লেখ্য, এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। ভিপি পদে ৯ জন ও জিএস পদে ৮ জন প্রার্থী লড়ছেন। ছাত্রীদের ১০টি হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টিতে কোনো প্রার্থী ছিল না, ৬৭টিতে ছিলেন একক প্রার্থী। ফলে মাত্র ২৪টি পদের জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হলে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।