নির্বাচনে মীর মশাররফ হোসেন হলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জুবায়ের শাবাব। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, তিনি ১৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। জুবায়ের শাবাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৮তম আবর্তনের শিক্ষার্থী। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয় পেয়েছেন শাহরিয়া নাজিম রিয়াদ। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১৯২। এজিএস পদে জয় পেয়েছেন আরাফাত, তিনি পেয়েছেন ১৭৯ ভোট।
শহীদ সালাম-বরকত হলে ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ৪৯তম ব্যাচের রসায়ন বিভাগের মারুফ এবং জিএস পদে মাসুদ রানা। ১০ নম্বর ছাত্র হলের (সাবেক মুজিব হল) ভিপি পদে আসিফ মিয়া, জিএস পদে মেহেদি হাসান ও এজিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন নাদিম মাহমুদ।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন রাকিবুল ইসলাম। জিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন আলী আহমদ এবং এজিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন লাবিব। এ ছাড়া আ ফ ম কামালউদ্দিন হল সংসদে ভিপি পদে জয় পেয়েছেন দর্শন বিভাগের জিএম রায়হান কবীর।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ২১টি হলে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এরপর থেকেই নির্বাচন কমিশনের অব্যবস্থাপনা ও নানা অসংগতির অভিযোগ উঠতে থাকে। শুরুর দিকে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল। দুপুরের পর থেকে উপস্থিতি বাড়তে থাকে। ভোট গ্রহণের নির্ধারিত সময় বিকেল ৫টার পর কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের সারি থাকায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে সন্ধ্যার পরও ভোট গ্রহণ হয়েছে। রাত ১০টার দিকে হাতে ভোট গণনা শুরু হয়। আজ শুক্রবার দুপুরে ফল প্রকাশ হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক রশিদুল আলম।
বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ নিয়ে দিনভর নানা অভিযোগ তোলেন প্রার্থীরা। এর মধ্যে ছিল একেক হলে একেক নির্দেশনা পালন, কোথাও ভোটার তালিকায় ছবি না থাকা, আবার কোনো কেন্দ্রে হাতের আঙুলে অমোচনীয় কালি না দেওয়া।
৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন হলো। ১১ হাজার ৭৪৩ ভোটারের মধ্যে আট হাজার তিনজন ভোট দিয়েছেন। ভোটের হার ৬৭ দশমিক ৯ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদগুলোতে ৩৪০ পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৬২০ জন। ২১টি হলের ৩১৫ পদের মধ্যে ১৩১টিতে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন এবং ৬৮টি পদ শূন্য থাকছে। কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫টি পদে ১৭৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে ১৩২ জন ছাত্র ও ৪৫ জন ছাত্রী।