২০১৬ সালে নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সুশিলা কার্কি অন্তর্বর্তী নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে আছেন। বিক্ষোভকারীদের অনেকেই তার নাম প্রস্তাব করেছেন। ৩৪ বছর বয়সী বিক্ষোভকারী সমর্থক সুজিত কুমার ঝা বলেন, ‘আমরা সুশিলা কার্কিকে তিনি যেমন—তেমনই দেখি: সৎ, নির্ভীক ও অটল। তিনি সঠিক পছন্দ।
জেন-জিদের সঙ্গে আবারও আলোচনায় নেপালি সেনাবাহিনী
সত্য কথা বললে সেটা কার্কির মতো শোনায়।’
৭৩ বছর বয়সী কার্কি এতে সম্মতি দিয়েছেন। তবে তাকে নিয়োগ দেওয়ার সাংবিধানিক পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে। অন্য আরেকটি সূত্র জানায়, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে তার প্রার্থিতা নিয়ে কিছু মতভেদ রয়েছে ও তারা সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে।
জেন-জিদের সঙ্গে আবারও আলোচনায় নেপালি সেনাবাহিনী
এর আগে বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী নেতা বাছাইয়ের প্রসঙ্গে মুখপাত্র রাজা রাম বসনেত রয়টার্সকে বলেন, ‘প্রাথমিক আলোচনা চলছে ও আজও চলবে। আমরা ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।’
কাঠমাণ্ডু ও আশপাশের এলাকায় দোকানপাট, স্কুল ও কলেজ বন্ধ থাকলেও কিছু জরুরি সেবা চালু হয়েছে। সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দিনটির বেশির ভাগ সময় কাঠমান্ডু ও আশপাশের এলাকায় নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু রয়েছে।
নেপালের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিক্ষোভে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ হয়েছে ও আহত হয়েছে এক হাজার ৩৩ জন।
প্রধানত তরুণদের অংশগ্রহণের কারণে এই আন্দোলনকে ‘জেন-জি’ প্রতিবাদ বলা হচ্ছে। তারা সরকারের দুর্নীতি দমন ব্যর্থতা ও কর্মসংস্থান সংকটের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
বিক্ষোভে সুপ্রিম কোর্ট থেকে শুরু করে মন্ত্রীদের বাসভবন এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অলির ব্যক্তিগত বাড়িসহ বিভিন্ন সরকারি ভবনে আগুন দেওয়া হয়েছে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পোখরার কয়েকটি হোটেল ও কাঠমাণ্ডুর হিলটন হোটেলেও অগ্নিসংযোগ করা হয়।