৪ ঘন্টা অস্ত্রোপচার শেষে বিছানায় দেয়ার পরই প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয় রোগীর। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে রোগীর কোন সমস্যা হবে না বলে জানায় তারা। এরপর রোগীর অবস্থা ক্রমেই অবনতি হলে ২৪ আগস্ট ছাড়পত্র দিয়ে বিদায় করে দেন সোমা ক্লিনিক।
রোগীর অস্থা সঙ্কটাপন্ন দেখে তারা দ্রুত সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার বাড্ডায় অবস্থিত এজেডএম হাসপাতলে নিয়ে যান স্বজনরা। এজেডএম হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, রোগীর অপারেশনের সময় পিত্তথলিতে ক্লিপ পড়ানোর পরিবর্তে পিত্তনালীতে ক্লিপ পড়ানো হয়েছে। যা চিকিৎসকরা বিষয়টিকে ভুল হিসেবে দেখছেন।
পিওনালী ব্লক হওয়ার কারনে ইনফেকশন হয়ে গেছে এবং রোগীর শরীর অতিরিক্ত ফুলে গেছে। দেখা দিয়েছে রক্ত স্বল্পতা। পুরো শরীর জ্বালা পোড়ার মাত্রা বেড়ে গেছে এবং প্রচুর বমি হচ্ছে। এখন রোগী মৃত্যু শয্যায় বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
ভুল চিকিৎসায় তানজিলা মৃত্যু শয্যায় উল্লেখ করে জড়িতদের বিচারের দাবি জানান স্বজনরা।
সোমা ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহেদি হাসানের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তবে রোগীর স্বজনরা জানান, সোমা ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহেদি হাসানের সাথে তারা কথা বলেছেন। মেহেদি হাসান তাদেরকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছেন।
এ বিষয়ে মালিগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো: মুনতাজ আলী বলেন, রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে পরবর্তি চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের কথা বললেও তারা কর্নপাত করেননি।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার অভিযুক্ত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।