বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। প্রক্টরিয়াল তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ফাহমিদার ছবি পোস্ট করে আলী হুসেন তার ফেসবুক আইডি থেকে লিখেছিলেন- “হাইকোর্টের বিপক্ষে আন্দোলন না করে আগে একে গণধর্ষণের পদযাত্রা করা উচিত।” হুমকির এই পোস্ট ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়। পরবর্তীতে তার ফেসবুক আইডি ডিএক্টিভেট করে দেয়া হয়।
আলী হুসেন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যদিও ঐক্যজোট প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। একই প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদও প্রকাশ্যে হুসেনের শাস্তি দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত, ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে গত ৩১ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেছিলেন ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য-২৪’ প্যানেলের প্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলম। রিটের প্রেক্ষিতে গত সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের আদেশে ডাকসু নির্বাচন স্থগিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে চেম্বার আদালত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।