• বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:১০ অপরাহ্ন
  • |
  • |
Headline :
নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে আইনশৃঙ্খলা যৌবাহিনীর গুলিতে শ্রমিক নিহতের প্রতিবাদে এনসিপির সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় আত্মঘাতী ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ড্রেজার মালিক ও জমির মালিককে অর্থদণ্ড ডাকসু প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি: ঢাবি শিক্ষার্থী আলী হুসেন ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি কারাগারে বিএনপির কাউন্সিলে ভোট গণনার সময় ব্যালট বাক্স ছিনতাই নেতাকর্মীদের চীন ও রাশিয়া জোট যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কোনো হুমকি নয় জানাল ট্রাম্প দুর্গাপূজা উপলক্ষে আসছে ১৮ দফা নির্দেশনা শোক বার্তা তিন চালানে বেনাপোল দিয়ে দেশে এলো ৬০ টন পেঁয়াজ মহাদেবপুরে ছাগল-হাঁস-মুরগী বিতরণ

বিচার বিভাগের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ফিরলো সুপ্রিম কোর্টে

স্পষ্টবাদী ডেস্ক / ৩৮ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
বিচার বিভাগের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ফিরলো সুপ্রিম কোর্টে
বিচার বিভাগের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ফিরলো সুপ্রিম কোর্টে

বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কিছু অংশ অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া তিন মাসের মধ্যে পৃথক সচিবালয় গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতির ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের হাতে ফিরলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এছাড়া এই রায়ের ফলে সুপ্রিম কোর্টের পৃথক সচিবালয় স্থাপনে কোনো বাধা থাকলো না বলেও জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

অধস্তন আদালতের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধান রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ এবং বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর গত ১৩ আগস্ট শুনানি শেষ হয়। শুনানি নিয়ে এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য ২ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেন আদালত।

ওইদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) হিসেবে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শরীফ ভূইয়া। আর ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম।

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ, ২০১৭ সালের জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ এবং বিচার বিভাগীয় পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ২৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের সাত আইনজীবী রিটটি করেন। রিট আবেদনকারী সাত আইনজীবী হলেন- মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মো. জহিরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আমিনুল ইসলাম শাকিল ও যায়েদ বিন আমজাদ।

এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট বিচারপতি ফারাহ মাহবুব (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন। রুলে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ এবং এ সংক্রান্ত ২০১৭ সালের জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

একই সঙ্গে বিচার বিভাগীয় পৃথক সচিবালয় কেন প্রতিষ্ঠা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। একই সঙ্গে বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অগ্রগতি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

গত ২৫ মার্চ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। পরে প্রধান বিচারপতি বিষয়টি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠান। সে অনুযায়ী এই বেঞ্চে উভয় পক্ষে কয়েকদিন রুল শুনানির পর আজ (২ সেপ্টেম্বর) রায়ের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রায় ঘোষণা করা হলো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category