• শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন
  • |
  • |
Headline :
ফুটবল ম্যাচ ঘিরে তুমুল সংঘর্ষ, ইউএনওসহ আহত ২০ নান্দাইলে কবরস্থানে রহস্যজনক আগুন, এলাকাবাসীর উদ্বেগ আমরণ অনশনে চবির ৯ শিক্ষার্থী, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৩ সহকর্মীর লাশের উপর দিয়ে ভোট গণনা করতে চাই না: অধ্যাপক ড. সুলতানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে একদিনে গ্রেপ্তার ১৮০৯ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট এখনো অবিক্রীত, ভারতীয় নেটিজেনদের বয়কট ট্রেন্ডে ব্যাপক তোলপাড় পাঞ্জাবে বন্যার্ত ১৫০০ পরিবারের দায়িত্ব নিলেন শাহরুখ জাকসুর চূড়ান্ত ফল রাত ১১টার মধ্যে ঘোষণার আশা নির্বাচন কমিশনের জাকসু নির্বাচনে ৫ হলের অনানুষ্ঠানিক ফল প্রকাশ, ভোট গণনা শেষ ১৭ হলের কাতারে ইসরায়েলের হামলা থেকে যেভাবে বেঁচে গেলেন যোদ্ধারা

শ্যামনগর-আশাশুনি আসন একীভূতকরণের প্রতিবাদে স্বারকলিপি প্রদান

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: / ৫০ Time View
Update : বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫
শ্যামনগর-আশাশুনি আসন একীভূতকরণের প্রতিবাদে স্বারকলিপি প্রদান

সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলাকে একীভূত করে একটি সংসদীয় আসন গঠনের প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামী। বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা আমীর মাওলানা আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর একটি স্বারকলিপি প্রদান করেন।

স্বারকলিপিতে বলা হয়, শ্যামনগর ভৌগোলিকভাবে বিস্তীর্ণ, জনবহুল এবং জলবায়ুগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ একটি উপজেলা। এ উপজেলার জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই স্বতন্ত্র সংসদীয় আসনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু নতুন আসন পুনর্বিন্যাসে শ্যামনগরকে আশাশুনির সঙ্গে একীভূত করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা স্থানীয় জনগণের মতামতের পরিপন্থী। এতে জনদুর্ভোগ বাড়বে এবং প্রশাসনিক সেবা প্রদান জটিল হয়ে পড়বে।

স্বারকলিপি প্রদান শেষে মাওলানা আব্দুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩৯ বছর শ্যামনগর একটি স্বাধীন সংসদীয় আসন ছিল। ২০০৮ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সাতক্ষীরার পাঁচটি আসন ভেঙে চারটি আসন করে, যাতে পরবর্তী সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী হয়। এখন ২০২৫ সালে এসে আবারও শ্যামনগর ও আশাশুনিকে একীভূত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, যা জনস্বার্থ বিরোধী। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই শ্যামনগরকে আলাদা আসন বা সাতক্ষীরা-৫ হিসেবে পুনরায় ঘোষণা করা হোক। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে অন্তত পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী শ্যামনগর-কালিগঞ্জ আসন বহাল রাখতে হবে।

স্থানীয় জনগণও এ প্রজ্ঞাপনের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা, নদী-বিধৌত এলাকা ও পরিবহন সমস্যা থাকার কারণে শ্যামনগর ও আশাশুনি একই আসনে অন্তর্ভুক্ত হলে মানুষের যোগাযোগ ও প্রশাসনিক জটিলতা বাড়বে। ফলে এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রমও ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্বারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াত নেতা শহিদুল ইসলাম, উৎসর্গ সোসাইটির চেয়ারম্যান গাজী আব্দুর রউফ, ছাত্র প্রতিনিধি মাছুম বিল্লাহসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category