• বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:২৬ অপরাহ্ন
  • |
  • |
Headline :
গোবিপ্রবিতে পাঞ্জেগানা মসজিদের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন ‘হুট করে একদিন চাকরি নাই, দুই-তিন মাস বাড়িতে বসে থাকা তো মানসিকভাবে বিরাট আঘাত’ জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা শ্রমিকদের ২৩ দফা মেনে নিলেন কতৃপক্ষ, কাজে ফিরলেন উত্তরা ইপিজেডের শ্রমিকরা ভারত-চীন সম্পর্কে নতুন মোড় পাকিস্তানকে কী বার্তা দিচ্ছে স্বপ্ন নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় কুমিল্লার ২ বন্ধু, এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গোপালগঞ্জে টিআরসি পদে নিয়োগ সংক্রান্তে লিখিত পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিং অর্থের অভাবে রেস্তোরাঁ বন্ধ? মুখ খুললেন শিল্পা শেঠি ধর্ষণের অভিযোগ থেকে মুক্ত পাকিস্তানি ক্রিকেটার হায়দার আলী রাবি ছাত্রীদের ‘যৌনকর্মী’ বলা সেই ছাত্রদল নেতার শাস্তি পদ স্থগিত

শিক্ষার্থীদের বাঁচিয়ে শিক্ষিকা মাহরিন নিজেই না ফেরার দেশে

স্পষ্টবাদী ডেস্ক / ২৪ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫
শিক্ষার্থীদের বাঁচিয়ে শিক্ষিকা মাহরিন নিজেই না ফেরার দেশে

ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মারা গেছেন দুর্ঘটনায় দগ্ধ কলেজটির কো-অর্ডিনেটর মাহরিন চৌধুরী (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে তার শরীরের অনেকাংশই দগ্ধ হয়েছিল বলে জানা গেছে।

সোমবার (২১ জুলাই) রাতে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান। এরপর মাহরিন চৌধুরীর ভাই মুনাফ মুজিব চৌধুরী এক ফেসবুক পোস্টে বোনের মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে লেখেন, মাহরিন আপু আর আমাদের মাঝে নেই। আমার বড় বোন, যিনি আমাকে মায়ের মতো করে বড় করেছেন।

সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের সামনে বিমানবাহিনীর একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। ওই সময় স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীদের হাত ধরে গেট পার করানো ছিল মাহরিন চৌধুরীর (৪২) নিত্যদিনের দায়িত্ব। আগুনের ভয়াবহতা বেড়ে গেলেও তিনি নিজে বেরিয়ে আসার আগে যতজন শিক্ষার্থীকে সম্ভব, তাদের বের করে আনার চেষ্টা চালিয়ে যান। এ সময় তার শরীর আগুনে দগ্ধ হয়।

মুনাফ মুজিব চৌধুরী লিখেছেন, মাইলস্টোনে কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করতেন মাহরিন। আগুন লাগার পর তিনি প্রথমে বের হয়ে আসেননি, বরং যতজন শিক্ষার্থীকে সম্ভব বের করে আনার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ১০০ শতাংশ দগ্ধ হন।

মুনাফ চৌধুরী লেখেন, আজ আপনারা দয়া করে আমার প্রিয় বোনের জন্য দোয়া করবেন। তিনি তার দুই ছেলেকে রেখে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়ার পর আমি আরও বিস্তারিত জানাব। দগ্ধ হওয়ার পর তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তাকে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরের শতভাগই দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সোমবার রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এর আগে, মাহরিনের স্বামী মনসুর হেলাল বলেন, মাহরিনের পা থেকে মাথা পর্যন্ত সব ঝলসে গেছে। ডাক্তার শুরুতে বলেছিলেন কমপক্ষে ৮০ শতাংশ বার্ন, তবে আমার মনে হচ্ছে ১০০ শতাংশ দগ্ধ।

এ বিষয়ে মনসুর হেলাল বলেন, মাহরিন বলেছেন-স্কুল ছুটির পর বাচ্চাদের নিয়ে বের হচ্ছিলেন। ঠিক তখনই গেটের সামনে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। নিজে দগ্ধ হলেও সেসময় তিনি বাচ্চাদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category