• সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
  • |
  • |
Headline :
ফরিদপুরে খালে ডুবে একই পরিবারের দুইজন প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী মৃত্য শ্যামনগরে ইসলামী আন্দোলনের এমপি প্রার্থী মোস্তফা আল-মামুন’র গণসংযোগ পথসভা অনুষ্ঠিত চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের দফায় দফায় সংঘর্ষ, নেই পুলিশ জাতীয় পার্টির ভেতর দিয়ে আওয়ামী লীগকে ফেরানোর পরিকল্পনা চলছে: আসিফ এপিবিএনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, সেনা চায় রোহিঙ্গা নারীরা পিআর সম্ভব না, রিজভী চবি ও আশপাশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি পাবনার সাঁথিয়া মাকে নির্যাতনে, ছেলে-পুত্রবধূসহ আটক ৫ রিটকারীকে শুভেচ্ছা জানালেন শিবিরের জিএস প্রার্থী ফরহাদ ভারত সফরের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন ট্রাম্প: নিউ ইয়র্ক টাইমস

নির্বাচন অনেকের কাছে উৎসব হলেও হিন্দুদের জন্য অভিশাপ : গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক

স্পষ্টবাদী ডেস্ক / ৫০ Time View
Update : শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫

নির্বাচন অনেকের কাছে উৎসব হলেও হিন্দুদের জন্য এটা অভিশাপ বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেছেন, বাংলাদেশের কোন হিন্দু সম্প্রদায় ইলেকশনে অংশগ্রহণ করবে না, কোন নির্বাচনে ভোট দিতে যাবে না।সম্প্রতি এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, এখন পর্যন্ত ২৫ হাজারের বেশি হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা হয়েছে। কোন বিচার করে নাই।

আওয়ামী লীগও করে নাই, বিএনপিও করে নাই। দুই পক্ষই আমাদেরকে নিয়ে ফুটবলের মত ব্যবহার করে। এই পক্ষ গোল দেওয়ার চেষ্টা করে ওই দিকে, ওই পক্ষও গোল দেওয়ার চেষ্টা করে।তিনি বলেন, প্রত্যেকটি নির্বাচনে আমরা দেখেছি যে নির্বাচনের পরেই এবং নির্বাচনের আগে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করে।

আমরা ভোলার কাহিনী দেখেছি ২০০১ সালের নির্বাচনে এবং সর্বশেষে এইবার যারা ভোটারবিহীন নির্বাচন ২০২৪ সালে সেখানেও আমরা দেখলাম যে আওয়ামী লীগের দুইটা গ্রুপ কেউ ট্রাক মার্কা, কেউ নৌকা মার্কা সেখানেও যে পক্ষ হেরেছে তারা গিয়ে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা করেছে। সেই কারণে আমরা বলছি যে নির্বাচন অনেকের কাছে আনন্দ উৎসব হতে পারে, ঈদ উৎসব হতে পারে কিন্তু হিন্দুদের জন্য এটা একটা অভিশাপ স্বরূপ এবং এটা একটা জাতীয় দুর্যোগ। আমরা এই দুর্যোগ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসন এবং পৃথক নির্বাচন দাবি করেছি।বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব বলেন, আমরা সরাসরি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারব না।

যেহেতু আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। অতএব আমাদেরকে আলাদা করে দিতে হবে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়কে একটা তাদের খাতায় বন্দি করে তাদের কাজে ব্যবহার করা। আপনারা দেখেছেন আওয়ামী লীগও এই কাজটা করেছে। বিএনপি ওই এই কাজটা করে অন্যান্য রাজনৈতিক দলও ওই হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু লোককে তাদের কাছে রেখে তাদের দিয়ে ওই যে বরশি দিয়ে মাছ ধরার সময় যখন টোপ দেয়, এরকম পূজা উপলক্ষে দুই পয়সা, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে দুই পয়সা দেওয়ার লোভ দেখায়।
এই সব কিছু দালাল এবং লোভী লোকদেরকে কুক্ষিগত করে সমস্ত হিন্দু সম্প্রদায়কে ভিকটিম বানিয়ে রাখেন। তারা যখন ওই পূজার জন্য কিছু পয়সা করে চাইতে হয় তখন বলে যে ওই নেতার সুপারিশ নিয়ে আসেন। ওই নেতার অনুমতি নিয়ে আসেন ফলাফলটা কি হচ্ছে সমগ্র হিন্দু সমাজকে তারা ভিকটিম বানিয়ে রাখে। আমরা এর থেকে মুক্তি চাই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category