• বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৭ অপরাহ্ন
  • |
  • |
Headline :
পাবনার আটঘরিয়ায় সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার ১৭ বছরে ১৪তম সরকারের পতন দেখল নেপাল নেপালে আটকেপড়া বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন, পরিস্থিতি শান্ত হলে ফিরবেন বালেন্দ্রর বদলে এখন সুশীলাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চায় নেপালের জেন-জি মুরাদনগরে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ে হামলা, দুই শিক্ষকসহ আহত ১৫ কিশোরগঞ্জে “সন্ধ্যা মডেল লাইব্রেরী” নিবন্ধন পেয়েছে তরুণদের কর্মসংস্থানে নতুন দিগন্ত : সাটুরিয়ায় ডব্লিউএস কমার্সের শাখা অফিস উদ্বোধন আন্দোলন ছিনতাই হবার দাবি নেপালের জেন-জি’র একের পর এক সরকার পতন, জেন-জিদের ক্ষোভে পুড়ছে বিশ্ব ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ীদের জামায়াত আমিরের শুভেচ্ছা

পাবনায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত সাড়ে ৬ লাখ পশু

স্পষ্টবাদী ডেস্ক / ৫১ Time View
Update : শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫
পাবনায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত সাড়ে ৬ লাখ পশু

কোরবানির জন্য পাবনায় ছয় লাখের বেশি পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যদিও চাহিদা রয়েছে তিন লাখের বেশি। পশু উদ্বৃত্ত থাকলেও এ বছর ক্রেতা কম। খামারিরা বলছেন, বিভিন্ন জেলার বেপারিরা প্রতি বছর পশু কিনে নিয়ে যেতেন। তবে এবারের দৃশ্যপট ভিন্ন। জেলার পশুর হাটগুলোও প্রায় ক্রেতাশূন্য। এছাড়া পশু পালনে এবার খরচও বেশি হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্নভাবে চাঁদাবাজিও রয়েছে। সব মিলিয়ে এবার লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে।

পাবনা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চলতি বছর জেলায় গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া মিলিয়ে ৬ লাখ ৪৮ হাজার ২০৪টি পশু কোরবানির উপযোগী করেছেন ২৭ হাজার ১০১ জন খামারি। এ বছর পশুর চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ১২ হাজার ৮২৬টি। সে হিসাবে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৩৭৮টি পশু উদ্বৃত্ত রয়ে যাচ্ছে।

খামারিদের দাবি, পশু উদ্বৃত্ত থাকলেও এবার ক্রেতা কম। যদিও দুই চারজন ব্যবসায়ী খামারে যাচ্ছেন, কিন্তু দাম বলছেন একদম কম। যে দাম বলছেন, সেটা তাদের পশুপালন খরচ থেকেও কম। প্রান্তিক খামারিদের অবস্থা আরো নাজুক। তাদের পশুর দামই বলছেন না বেপারিরা।

ছাতিয়ানী গ্রামের খামারি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘কোরবানিদাতার সংখ্যা কমে গেছে। ফলে এ বছর পশুর দাম একেবারেই নেই বললেই চলে।’

পশু ব্যবসায়ী কালু সেখ জানান, প্রতি বছর পাবনা থেকে প্রচুর গরু কিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করেছি। চলতি বছর ট্রাক ভাড়া বেশি ও চাঁদা দিতে গিয়ে প্রতিটি পশুর ওপর ২০-২৫ হাজার টাকা বেশি পড়ছে।’

অবশ্য চাঁদাবাজির বিষয়ে পাবনার পুলিশ সুপার মো. মোরতাজা আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

পাবনা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. একেএসএম মুশাররফ হোসেন বলেন, ‘জেলায় অর্ধেকের বেশি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে। গত বছর থেকে এ বছর আরো প্রায় ১৪ হাজার পশু বেশি পালন করা হয়েছে। পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি ও চাঁদাবাজির কারণে বেপারিরা পশু কিনতে অনীহা দেখাচ্ছেন। এজন্য খামারিরা লোকসানের মুখে পড়তে পারেন। তবে যেসব খামারি প্রণোদনা পেয়েছেন, তারা কিছু হলেও লাভের মুখ দেখবেন।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category