আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টার প্রতিবাদে বাংলাদেশ প্রজন্ম দল কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রজন্ম দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহসিন হাবিবের সঞ্চালনায়, সভাপতি মোঃ জনি হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সন এর অন্যতম বিশেষ সহকারী ও সাবেক বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক তিনি বলেন বিএনপি বিগত ১৬ বছর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ এর পতনে বিএনপি মাঠে ছিলো।
নানা অত্যাচার জেল জলুম সহ্য করেছে বহুনেতা কর্মী গুমসহ আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা জেল খেটেছে। আপনারা দেখেছেন আমি নিজেও কত অত্যাচারিত হয়েছি। আর আমরা যখন একটি আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এদেশের ছাত্র ও আপামর জনতা সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার কে বিতাড়িত করে দেশ একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে হাটছে এবং একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে তখনই একটি চক্র নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করছে আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই আগামী সংসদ নির্বাচন সহ সকল নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করতে এই নির্বাচন কমিশন এর বিকল্প নেই।
তাই যদি কেউ এটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে আমরা শক্ত হাতে প্রতিহত করবো। প্রতিবাদ সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সন এর অন্যতম উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবীব। তিনি বলেন আমরা যখন মাঠে ছিলাম তখন কেউ ছিলোনা আর যখন আমাদের আন্দোলন সফলতার দিকে ধাবিত হলো তখন একদল অতিথি পাখির মতো এসে আমাদের দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রামকে পুঁজি করে এমন ভাবে প্রচার করলো যেন বিগত স্বৈরাচার সরকার পতনে শুধুমাত্র তাদের ভূমিকা আমি তাদের বজ্র কন্ঠে বলতে চাই আমরা যখন ঘুমোতে পারিনি জেল জুলুমের স্বীকার তখন আপনারা নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েছেন আমাদের আন্দোলন দেখে হেসেছেন আর আজ আপনারা বলেন আন্দোলন এ বিএনপির কোন অবদান নেই আপনাদের জেনে রাখা উচিৎ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শুধুমাত্র একজন আপোষহীন নেত্রীই নয় তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রাজনীতির দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছেন। যার ফলে তিনি কোন অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি এবং আমাদের নেতা তারেক রহমান সবসময় দৃঢ়ভাবে নেতাকর্মীদের মাঝে বিশ্বাস স্থাপন করে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
তাই এই নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন কে আপনারা বিতর্কিত করে কোন উদ্দেশ্য হাসিল করতে চান তা জনগন জানে। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হয়ে যান না হলে জনগণ আপনাদের মুখোশ খুলে দিবে। তখন কিন্তু পালানোর পথ খুজে পাবেন না। আপনারা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন থেকে শিক্ষা নিন নয়তো ভবিষ্যতে কঠিন মুল্য দিতে হবে। আমরা চাই নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ নির্বাচন হোক এবং তা এই নির্বাচন কমিশন এর তত্ত্বাবধানেই হোক। এই নির্বাচন কমিশন জনগনের আস্থা অর্জন করেছে। ঘন্টাব্যাপী চলা এ প্রতিবাদ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নির্বাহী সদস্য আ.ক.ম মোজাম্মেল হক সহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিট এর নেতাকর্মীরা।