• বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩০ পূর্বাহ্ন
  • |
  • |
Headline :
পাবনার আটঘরিয়ায় সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার ১৭ বছরে ১৪তম সরকারের পতন দেখল নেপাল নেপালে আটকেপড়া বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন, পরিস্থিতি শান্ত হলে ফিরবেন বালেন্দ্রর বদলে এখন সুশীলাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চায় নেপালের জেন-জি মুরাদনগরে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ে হামলা, দুই শিক্ষকসহ আহত ১৫ কিশোরগঞ্জে “সন্ধ্যা মডেল লাইব্রেরী” নিবন্ধন পেয়েছে তরুণদের কর্মসংস্থানে নতুন দিগন্ত : সাটুরিয়ায় ডব্লিউএস কমার্সের শাখা অফিস উদ্বোধন আন্দোলন ছিনতাই হবার দাবি নেপালের জেন-জি’র একের পর এক সরকার পতন, জেন-জিদের ক্ষোভে পুড়ছে বিশ্ব ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ীদের জামায়াত আমিরের শুভেচ্ছা

১৭ বছরে ১৪তম সরকারের পতন দেখল নেপাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক / ১৭ Time View
Update : বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
১৭ বছরে ১৪তম সরকারের পতন দেখল নেপাল
১৭ বছরে ১৪তম সরকারের পতন দেখল নেপাল

শিক্ষার্থী জনতার ভয়াবহ বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। তার পদত্যাগের মধ্যে দিয়ে দেশটিতে গত ১৭ বছরে ১৪ তমবার সরকারের পতন ঘটল। বস্তুত, ২০০৮ সাল থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়েছে নেপালে। ওই বছর থেকে এ পর্যন্ত ১৭ বছরে যে ১৪টি সরকার ক্ষমতায় এসেছে— কোনোটিই ৫ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি।

১৯৫১ সালের আগ পর্যন্ত নেপালে সম্পূর্ণ রাজতন্ত্র প্রচলিত ছিল। নেপারের তৎকালীন রাজাদের বলা হতো রানা। তার সহায়ক হিসেবে অবশ্য প্রধানমন্ত্রীও থাকতেন, তবে কে প্রধানমন্ত্রী হবে, তা উত্তরাধিকারের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হতো।

তারপর ১৯৫১ সালে এক গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনে পতন ঘটে রানাদের। ক্ষমতায় আসেন রাজা মহেন্দ্র বীর বিক্রম শাহ দেব এবং নেপাল পার্লামেন্টারি রাজনীতিতে প্রবেশ করে।

কিন্তু ১৯৬১ সালে নেপালে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষেধাজ্ঞা দেন রাজা মহেন্দ্র। তার এ পদক্ষেপের উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতাকে এককভাবে রাজতন্ত্রের হাতে কুক্ষিগত করা। তবে পার্লামেন্ট ব্যবস্থা চালু ছিল এবং নির্বাচনের ভিত্তিতেই সেখানে এমপিরা আসন পেতেন। তবে তারা নিজেদের কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিতে পারতেন না।

প্রায় ৩ দশক এই অবস্থা চলার পর ১৯৯০ সালে জনগণ বিক্ষোভ শুরু করে এবং তা শান্ত করতে তৎকালীন রাজা বীরেন্দ্র বীর বিক্রম শাহ দেব রাজনৈতিক দলগুলোর পর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। সেই বিক্ষোভের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্রে প্রবেশ করে নেপাল।

১৯৯৬ সালে নেপালের মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টি রাজতন্ত্র ও রাজতন্ত্রের সবচেয়ে বড় সমর্থক রাজকীয় পার্লামেন্ট ব্যবস্থা বিলোপের দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করে এবং দশকব্যাপী সেই আন্দোলন-সংগ্রামে নিহত হয়েছেন ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ।

গত মার্চ মাসে নেপালে রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল কাঠমান্ডুতে। পরিস্থিতি সামলাতে সেনা মোতায়েন করতে হয়। সেই বিক্ষোভের ছ’মাস কাটতে না-কাটতেই পতন ঘটল কে পি শর্মা অলির নেতৃত্বাধীন সরকারের।

২০০৬ সালে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেন নেপালের মাওবাদীরা। রাজতন্ত্র বিলোপ হয়, নেপাল একটি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ২০১৫ সালে নতুন সংবিধান গ্রহণ করে দেশটি।

কিন্তু রাজতন্ত্রের বিলোপ হওয়ার পর থেকে নতুন সংকটের আবর্তে প্রবেশ করে নেপাল। কারণ ২০০৮ সাল থেকে যতগুলো সরকার ক্ষমতায় এসেছে, সেগুলোর কোনোটিই সর্বোচ্চ আড়াই বছরের বেশি টিকতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হয়েছে মাত্র এক বছরের মাথায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category