এর আগে প্রায় এক সপ্তাহ আগে ইতালি থেকে আরো আটটি নৌযান গাজা অভিমুখে যাত্রা করে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই নয়টি নৌযান এখন গ্রিসের ক্রিট দ্বীপের উপকূলে অবস্থান করছে। কর্মীদের আশঙ্কা, নৌযানগুলো গাজার দিকে অগ্রসর হলে ইসরায়েলি নৌবাহিনী সেগুলো আটকাবে।
নৌযানে প্রায় ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবী ও ক্রু আছেন বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে এফএফসি। ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন, গ্লেবাল মুভমেন্ট টু গাজা, মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা এবং সুমুদ নুসানতারা— এই চার সংগঠনের জোট এফএফসি।
২০০৮ সালে গঠিত হয় এই জোট। তারপর থেকে গত ১৭ বছরে বেশ কয়েকবার গাজয় ত্রাণ পাঠিয়েছে এফএফসি।
আবুল কাশেম মাঝি জানান, ৯ জেলে নিয়ে তিনি মেঘগত এক দিনে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র মোট ৪২টি নৌযান আটক করেছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী এবং প্রায় ৪৭০ জন কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছিলেন সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও।
তবে প্রথম গাজামুখী সহায়তা বহনকারী নৌবহরের একমাত্র অবশিষ্ট নৌযান শুক্রবার যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের দিকে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। ফ্লোটিলা জানিয়েছে, তাদের ৪২টি নৌযান ‘অবৈধভাবে আটক’ করা হয়েছে এবং যাত্রীদের ‘অবৈধভাবে অপহরণ’ করা হয়েছে। ফলে এখন কেবল একটি নৌযান ‘ম্যারিনেট’ ইসরায়েলি অবরোধ ভেঙে গাজায় পৌঁছানোর মিশন চালিয়ে যাচ্ছে। ফ্লোটিলা তাদের ট্র্যাকার মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েলি নৌবাহিনীর হাতে অন্যান্য নৌযান আটক হওয়ায় বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে।
‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামের এ অভিযানে ডজনখানেক নৌযান অংশ নিয়েছিল। গত মাসে যাত্রা শুরু করেছিল এ বহর। বুধবার থেকে ইসরায়েলি নৌবাহিনী নৌযানগুলো আটক করতে শুরু করে।