পাবনা জেলার হেমায়েতপুর পুলিশ ফাঁড়ির সংস্কার ও পূর্ণনিমার্ণের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ৬ জুলাই, দুপুর ১২ টায় পুলিশ ফাঁড়িটি উদ্বোধন করেন পাবনা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোরতোজা আলী খান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হেমায়েতপুর পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ মোঃ তারিকুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার বলেন, “আমি হেমায়েতপুর পুলিশ ফাঁড়ি পরিদর্শনে এসে দেখতে পাই, ফাঁড়িটির অবস্থা জরাজীর্ণ এবং নিরাপত্তা বেষ্টনী অপ্রতুল। তাই আমি ইনচার্জ তারিকুল ইসলামের প্রতি সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছিলাম।” তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “এখন থেকে এই ফাঁড়িটি আমাদের সুরক্ষা এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষার একটি মডেল হিসেবে কাজ করবে।”
উদ্বোধনের পর অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় স্থানীয় বিভিন্ন ব্যবসায়ীরাও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে ওঠেন। এ সময় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব গোলাম রব্বানী কামনা, ডায়ানিকসান এনার্জি প্রাঃ লিঃ-এর জি এম মোঃ জহুরুল ইসলাম, রাজার মোবিল ফিল্টার-এর চেয়ারম্যান মোঃ আফজাল হোসেন রাজা সহ আরও অনেক ব্যবসায়ীরা বক্তব্য রাখেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার মাধ্যমে ওই ফাঁড়ির পুনঃর্নির্মাণে আন্তরিকতার সাথে ভূমিকা রেখেছেন, যা সমাজে এক নতুন উদাহরণ তৈরি করতে পারে। হেমায়েতপুর পুলিশ ফাঁড়ির এই পরিবর্তন জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শরিফ বলেন, হেমায়েতপুর পুলিশ ফাঁড়ির পাবনা সদরের একটি প্রাণ বলা যায়। এখানে বিসিক শিল্প নগরী, দেশের অন্যতম মানসিক হাসপাতাল, শ্রী শ্রী অনুকূল ঠাকুরের আশ্রাম, ১০০ মেগা ওয়াটের সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্হাপনা রয়েছে।
পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল ছালাম বলেন, আমি একসময় এখানে দায়িত্ব পালন করেছি। এই ফাঁড়িটি শ্রী শ্রী অনুকূল ঠাকুরের জায়গা পুলিশদের ব্যবহারের জন্য দিয়েছেন এবং পাশে স্হায়ীর জন্য ৭ শতাংশ জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে। সংস্কারের জন্য নাগরিকদের সেবা ও পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তায় থাকতে পারবে।
হেমায়েতপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ তারিকুল ইসলাম অনুষ্ঠান শেষে বলেন, “আজকের এই উদ্বোধন ও সংস্কারের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন অধ্যায় শুরু করলাম। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই ফাঁড়ির উন্নয়ন এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সুদৃঢ় করবে। সম্প্রদায়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সম্পর্ক বজায় রেখে আমরা সব ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে সদা প্রস্তুত থাকবো। ফাঁড়ির অবস্থান সামনের দিক থেকে অনেক উন্নত হবে এবং স্থানীয় জনগণের জন্য এটি একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করবে। সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা আমাদের কাজকে সফল করেছে, তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমরা সবাই মিলে একটি শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ হেমায়েতপুর গড়ে তোলার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাব।”
এ বক্তব্যের মাধ্যমে ইনচার্জ তার নেতৃত্বের মাধ্যমে এলাকার নিরাপত্তা ও সামগ্রিক সুস্থিরতা নিয়ে গভীর অনুভূতি প্রকাশ করেন