চট্টগ্রামে এনসিপি পদযাত্রার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। আজ বিকেল সাড়ে চারটায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক জোবাইরুল আরিফ বলেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার কারণে গোপালগঞ্জে এনসিপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এ দায় এড়াতে পারে না।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় চট্টগ্রাম নগরের প্রেসক্লাবে জুলাই পদযাত্রা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জোবাইরুল আরিফ এ কথা বলেছেন।
জোবাইরুল আরিফ বলেন, ‘সরকারের ব্যর্থতার ব্যাপারগুলা এত বেশি চোখা হয়ে উঠছে যে আমরা গণ-অভ্যুত্থানের ফসল কাদের হাতে তুলে দিয়েছি, তা নিয়ে নিজেরাই এখন চিন্তিত। আমরা নিজেরাই এখন এ বিষয়ে ভাবতে বাধ্য হচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে অনুষ্ঠেয় জুলাই পদযাত্রার বিস্তারিত তুলে ধরেন এনসিপির এই নেতা। তিনি জানান, ১৯ জুলাই কক্সবাজারে জুলাই পদযাত্রার কর্মসূচি শুরু হবে। উপস্থিত থাকবেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। কক্সবাজারে কর্মসূচি শেষ করে বিকেলে নেতা-কর্মীরা বান্দরবান যাবেন। সেখান থেকে আসবেন চট্টগ্রামে। ২০ জুলাই সকালে রাঙামাটির উদ্দেশে নেতা-কর্মীরা চট্টগ্রাম ছাড়বেন। দুপুরের মধ্যে রাঙামাটিতে কর্মসূচি শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর বেলা সাড়ে তিনটায় তাঁরা ফিরে আসবেন চট্টগ্রামে।
জোবাইরুল আরিফ বলেন, ২০ জুলাই বেলা সাড়ে ৩টায় নগরের কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেখান থেকে বহদ্দারহাট, চকবাজার, আন্দরকিল্লা হয়ে নেতা-কর্মীরা নিউমার্কেটে যাবেন। নিউমার্কেট থেকে টাইগারপাস হয়ে নেতা-কর্মীরা যাবেন ২ নম্বর গেট এলাকার বিপ্লব উদ্যানে। সেখানে জমায়েত হবে। তবে যানজট ও অন্যান্য কারণে সূচি পরিবর্তিত হতে পারে।
এ ছাড়া ২১ জুলাই সকালে খাগড়াছড়ি ও বিকেলে ফেনীতে পদযাত্রা করবে এনসিপি।
কর্মসূচির বিষয়ে জোবাইরুল আরিফ বলেন, ‘জুলাই সনদ এখনো তৈরি করতে পারেনি সরকার। আমরা জনগণের দুয়ারে যাচ্ছি। তাদের চাওয়া-পাওয়া জানার চেষ্টা করছি। জুলাই সনদের বিষয়ে বক্তব্য শুনছি। এসব বক্তব্য আমরা সরকারের কাছে তুলে ধরছি।’
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জোবাইরুল আরিফ বলেন, চট্টগ্রামে হামলার শঙ্কার বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়েছে। চট্টগ্রামে এ রকম কিছু হলে বিপ্লবী ছাত্র-জনতা তা প্রতিহত করবে।
জোবাইরুল আরিফ বলেন, ‘গোপালগঞ্জের পরে আমরা মনে করি না আওয়ামী লীগ আর নীরব ভূমিকায় আছে। এটা রাজনৈতিক দলগুলোর সামগ্রিক ব্যর্থতা বলে মনে করি। গোপালগঞ্জের পরে নিরাপত্তা নিয়ে আমরা নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য হচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ, যুব উইংয়ের কেন্দ্রীয় সংগঠক টিপু সুলতান প্রমুখ।