প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি বরাক নদীতে ইজারা বহির্ভূত এলাকা থেকে রাতের আঁধারে বালু ব্যবসায়ীরা বিপুল পরিমাণ বালু উত্তোলন করছে। এর ফলে বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙনের কবলে পড়ে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড সহ কৃষি জমি, সীমান্ত পিলার, বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে আন্তর্জাতিক সীমারেখা পরিবর্তিত হওয়া সহ নানাবিধ জটিলতার সৃষ্টি করছে।
বিজিবি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চলমান রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও বিজিবি’র যৌথ উদ্যোগে স্টাকফোর্স অভিযান। কিন্তু বিজিবি’র নিয়মিত অভিযান পরিচালনা সত্ত্বেও ইজারাকৃত জায়গার বাহিরে অন্য মৌজা হতে অবৈধ বালু উত্তোলন চলমান রয়েছে।
ফলে সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকার মধ্যে ভূমির প্রকৃতি পরিবর্তন এবং সীমান্ত পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উত্তোলিত বালু ভর্তি ট্রলি/ ট্রাক্টর এর ভেতর মাদকসহ চোরাই মালামাল পাচারের সমূহ সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। অটো, ভ্যান এর মাধ্যমে ব্যাপক হারে বালু পরিবহনের ফলে সীমান্ত হতে বর্ডার রোড পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা স্থানীয়দের ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বর্ডার রোড এর পুরো অংশই বিভিন্ন স্থানে গর্ত সহ উঁচুনীচু অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে স্থানীয় জনগণ, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী এবং অসুস্থ রোগীদের জরুরি ভিত্তিতে গমনা গমন অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন গত ০১ জুলাই ২০২৫ হতে ৩০ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত অবৈধ বালু উত্তোলন পরিবহনের দায়ে ০৮টি অভিযানের মাধ্যমে সর্বমোট ২৭৩৩০ ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়েছে কিন্তু এর পরেও বালুর উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছে না।
আমরা ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ানের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে। এই বিষয়ে স্থানীয় জনগণের আন্তরিকতা, সহযোগিতা, সদিচ্ছা এবং প্রিন্ট ও মিডিয়ার সকল সাংবাদিকবৃন্দের শক্ত অবস্থান ও প্রচারণাই পারে আমাদের আন্তর্জাতিক সীমারেখা, ভূমির অখণ্ডতা রক্ষার পাশাপাশি গরীব, দুস্থ, অসহায়, ভূমিহীন মানুষদের পাশে ডাল হয়ে দাঁড়াতে। প্রেস ব্রিফিং শেষে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং কষ্ট করে দূর দূরান্ত থেকে এই প্রেস ব্রিফিংয়ে যোগ দানের জন্য ধন্যবাদ জানান।