• বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন
  • |
  • |
Headline :
বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আ’লীগ, চরমোনাই, জামাত সবাইকে যোগদানের আহবান বিএনপি সভাপতির সিঙ্গাপুর প্রবাসীর নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ভুক্তভোগী স্বামীর সংবাদ সম্মেলন নলছিটিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মসজিদের ইমাম গ্রেপ্তার বাংলাদেশে ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে বাঁচতে পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে প্রবেশ করতে পারবে সংখ্যালঘুরা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা তো দূরের বিষয়, তিন নেতার কারো চিন্তাভাবনাতেই নেই: রাশিয়া শ্যামনগরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নকিপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ে রিপোর্টার্স ক্লাবের লিফলেট বিতরন কাগজ কলমে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা যায় না : রুমিন ফারহানা ডাকসুতে স্বাধীনতাবিরোধীদের ভোট দিতে নিষেধ করলেন ছাত্রদল নেত্রী আমাকে নায়িকাই করতে হবে এমন চাহিদা নেই

সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক গ্রেপ্তার

স্পষ্টবাদী ডেস্ক / ৩০ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫
সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক গ্রেপ্তার

সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল আটটার দিকে ডিবি পুলিশ তাকে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আটটার কিছুসময় পরে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে তাঁর ধানমন্ডির বাসা থেকে আমরা আটক করেছি। তাকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হবে। এরপর তার বিরুদ্ধে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

দেশের ১৯-তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে এবিএম খায়রুল হক শপথ নেন ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। পরের বছর (২০১১ সাল) ১৭ মে ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় তিনি অবসর গ্রহণ করেন।

এদিকে সম্প্রতি সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। ‘দেশের বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মূল কারিগর’ উল্লেখ করে তাকে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানায় সংগঠনটি।

বিচারাঙ্গনে তুমুলভাবে আলোচিত-সমালোচিত এ বিচারপতির বেশ কয়েকটি রায় চরম বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। তিনি নিজে আওয়ামী আমলে নানাভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাকে প্রধান বিচারপতি করা হয়েছিল কয়েকজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে ডিঙিয়ে।

প্রধান বিচারপতি থাকাকালে ত্রাণ তহবিলের টাকায় নিজের চিকিৎসা করে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। অবসর নেওয়ার কয়েকদিন আগে তিনি ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেন। এতে দেশে রাজনৈতিক সংঘাতের পথ উন্মুক্ত হয়। পাশাপাশি শেখ হাসিনার ভোট ডাকাতির চূড়ান্ত সুযোগ তৈরি হয়।

রাজনৈতিক একটি বিষয়কে আদালতের আওতাধীন করে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক নন বলে রায় দিয়েছিলেন এবিএম খায়রুল হক। এছাড়া বিতর্কিত একাধিক বিচারপতিকে শপথ পড়ানো, আগাম জামিনের এখতিয়ার কেড়ে নেওয়া, খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

খায়রুল হকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর গত ১৮ আগস্ট ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য ইমরুল হাসান বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় খায়রুল হকের বিরুদ্ধে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পরিবর্তন ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে খায়রুল হক ছিলেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটলে ১৩ আগস্ট তিনি আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category