এর পরেও তাঁরা কাজ চালিয়ে যান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য নলছিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি এনায়েত করিম ও সাধারণ সম্পাদক কে এম সবুজকে তাঁর কার্যালয়ে দেখা করতে বলেন। দুপুর দুইটার দিকে দুই সাংবাদিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই বসা ছিলেন মোহাম্মদ মহসিন ও রাশেদ খান মিঠু। নলছিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সামনে বসেই মহসিন ও মিঠুকে নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বলেন ইউএনও। এতে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়।
এসময় সাংবাদিক কে এম সবুজ ইউএনওর কথার সঙ্গে একমত পোষণ করলে রাশেদ খান মিঠু ও মহসিনের সঙ্গে কথার কাটাকাটি হয়। পরে ইউএনওর সঙ্গে বৈঠক শেষে নিচে নামলে মহসিন ও মিঠুর নেতৃত্বে পাঁচ-ছয়জন মিলে হামলা করে সাংবাদিক কে এম সবুজের ওপর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে সাংবাদিক সবুজকে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
আহত সাংবাদিক কে এম সবুজ বলেন, গত ১৮ জুন নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী মিজানুর রহমান মোহাম্মদ মহসিনের নামে থানায় একটি অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে আমি একটি নিউজ করি। এ নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে মহসিন বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। মহসিন ও মিঠুর নেতৃত্বে অবৈধ একটি স্থাপনা নির্মাণে ইউএনও বাধা দেয়। আমাকে এবং প্রেসক্লাবের সভাপতিকে ইউএনও ডাকলে, সেখানে যাই।
নিচে নামলেই মহসিন ও মিঠুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমার ওপর হামলা করে। নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে হামলাকারীদের কাউকে পায়নি। এ ব্যাপারে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।