তিনি জানান, আলোচনায় শ্রমিকদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে, তাই বৃহস্পতিবার থেকে উৎপাদন শুরু হচ্ছে। এর আগে মঙ্গলবার শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার জেরে বুধবার সারাদিন বন্ধ থাকে উত্তরা ইপিজেডের ২৪টি কারখানা। বুধবার দুপুর ৩টা থেকে জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী, বেপজা কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক প্রতিনিধি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নীলফামারীর জেলা নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে নিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সামাদ শিকদার জানান, ‘শ্রমিকদের ২৩ দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে এবং উৎপাদন স্বাভাবিক হচ্ছে।’
তিনি নিহত শ্রমিকের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। আইনানুগভাবে তাদের সব পাওনা পরিশোধ করা হবে। ভবিষ্যতে যাতে আর এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
সভায় উপস্থিত রাজনৈতিক দলের নেতারা বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা হবে না এবং শ্রমিকরা যেন নিশ্চিন্তে কাজে ফিরতে পারে সে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। নিহত শ্রমিকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা, আহতদের উন্নত চিকিৎসা এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে লিখিত চুক্তির সিদ্ধান্ত হয়।’
নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, ‘শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিগুলোর বেশির ভাগ কারখানার মালিকেরা মেনে নিয়েছেন। এ কারণে বৃহস্পতিবার সব কারখানা খুলছে। এভারগ্রিনের সঙ্গে বেপজার কিছু চুক্তি হবে। এ কারণে এভারগ্রিন বৃহস্পতিবার খুলবে না। তবে শনিবার থেকে তারা কারখানা খুলবে। তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় বেপজার পক্ষ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি হয়েছে।’
এর আগে গত মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) উত্তরা ইপিজেডের এভারগ্রীন নামের একটি কারখানা বন্ধ ও শ্রমিক ছাঁটাইয়ের জেরে শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে হাবিব ইসলাম (২১) নামের নিরিহ এক শ্রমিক নিহত হন। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন শ্রমিক, পুলিশ ও সেনাসদস্যসহ অন্তত ৬০ জন।