স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আনোয়ার আহমেদ দীর্ঘ আট বছর ধরে রাশিয়ান কোম্পানি নিকিমথে দোভাষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি স্ত্রীসহ দশ দিনের ছুটিতে নিজ বাড়ি চট্টগ্রাম যান। শনিবার বিকেল তিনটার দিকে স্ত্রীকে চট্টগ্রামে রেখে তিনি একাই ঈশ্বরদীতে ভাড়া বাসায় ফেরেন।
রাত হয়ে গেলেও স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ না হওয়ায় স্ত্রী রিপা পাশের বাড়ির গৃহবধূ সাবিনা ইয়াসমিনকে ফোনে স্বামীর খোঁজ নিতে বলেন। পরে সাবিনা ইয়াসমিন আনোয়ার আহমেদের ঘরে গিয়ে দেখতে পান—ঘরের ভেতরে মেঝে মোছার কাপড় হাতে তিনি অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন।
খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা দ্রুত পুলিশে খবর দেন। ঈশ্বরদী থানার এসআই লতিফুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন এবং লাশ উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
ঈশ্বরদী থানার ওসি আ স ম আব্দুন নুর জানান, ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
এদিকে, এ ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ এটি স্বাভাবিক মৃত্যু মনে করলেও অন্যরা রহস্যজনক মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।