শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রংপুরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে গরম পরিস্থিতি আরও প্রকট হয়। মানুষ হাঁসফাঁস করছে, ঘামে ভিজে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমন প্রশ্ন উঠেছে, কম তাপমাত্রার মধ্যেও কেন এত গরম অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়াবিদদের মতে এর মূল কারণ বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা জানান, এপ্রিল ও মে মাসে তাপমাত্রা অনেক বেশি হলেও বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ থাকে তুলনামূলক কম। ফলে তখন গরমে অস্বস্তি হলেও শরীর থেকে ঘাম ঝরার পরিমাণ এতটা থাকে না। কিন্তু এখন আর্দ্রতার আধিক্য থাকায় সামান্য তাপমাত্রায়ও মানুষ ভীষণ গরম অনুভব করছে। শনিবার সকালে রংপুরে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ।
গরমের পেছনে আরেকটি বড় কারণ হলো বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাওয়া। গত দুই সপ্তাহর বেশি ধরে রংপুরসহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি নেই বললেই চলে। মাঝে মধ্যে সামান্য বৃষ্টি হলেও তাতে স্বস্তি মিলছে না।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সাম্প্রতিক লঘুচাপের প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। বরং বৃষ্টি না হওয়ায় গরম আরও বেড়েছে। একই সঙ্গে মৌসুমি বায়ুও এখন কম সক্রিয়, এর প্রভাবেও দেশে বৃষ্টি কমে গেছে। ফলে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম হলেও ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বাড়ছে।
সেপ্টেম্বরের এমন ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিশেষ করে কর্মজীবী মানুষ দিনের বেলা বাইরে বের হলে পড়ছে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে। তীব্র গরমে বিদ্যুৎ বিভ্রাট যুক্ত হলে তা মানুষের কষ্টকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।