• শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন
  • |
  • |
Headline :
রংপুর রেলওয়ে স্টেশনে চাহিদার ২০ ভাগ টিকিট পাচ্ছে না মানুষ গোপালগঞ্জে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ দুই দিনের ব্যবধানে মাটিরাঙ্গায় দ্বিতীয় ধর্ষণ : অস্ত্র ঠেকিয়ে স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণ, সেনাবাহিনীর হাতে ধর্ষক আটক ট্রাভেল পাস ছাড়া যাওয়া যাবে না সেন্টমার্টিন, মানতে হবে আরও যেসব নির্দেশনা স্কুল-কলেজ কমিটির সভাপতি পদে সরকারি কর্মকর্তা মনোনয়নের প্রজ্ঞাপন স্থগিত দেশের ৬৪% রেলপথই নড়বড়ে ময়মনসিংহে কেজিতে ১০ টাকা কমেছে সবজির দাম এইচএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন শেষ হচ্ছে আজ সিরিজ জয়ের মিশনে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ এমপি নেই তবুও ‘এমপি প্রকল্প’ ব্যয় বাড়ছে ৩৯%

রংপুরে বেড়েছে ডিমের দাম, স্বস্তিতে সবজি

রংপুর প্রতিনিধি / ৩০ Time View
Update : বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
রংপুরে বেড়েছে ডিমের দাম, স্বস্তিতে সবজিরংপুরে বেড়েছে ডিমের দাম, স্বস্তিতে সবজি
রংপুরে বেড়েছে ডিমের দাম, স্বস্তিতে সবজি

রংপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ডিমের দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে প্রায় সবধরনের সবজির দাম। এছাড়াও মাছ, মাংস, চাল, ডাল ও তেলের দামও আগের মতো রয়েছে। রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজারে দেখা যায়, খুচরা বাজারে মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৮ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৪-৪৬ টাকা।

আর পাইকারি বাজারে একশত ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকা। সেই হিসেবে প্রতিহালি ডিমের দাম পড়ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা। নগরীর মুলাটোল আমতলা বাজারে আবুল হোসেন বলেন, দুদিন আগেও ডিমের হালি ৪৪-৪৬ টাকা ছিল। এছাড়াও খুচরা বাজারে পেঁয়াজ ৭০-৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচামরিচ মঙ্গলবার ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বুধবার খুচরা বাজারে ১৪০-১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লালবাগ বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা লিটন মিয়া বলেন, বাজারে কাঁচামরিচের করে দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজারে পাঁচ কেজি কাঁচামরিচের দাম ৬০০ টাকা।

খুজরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকা দরে। সবজি বাজারে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে টমেটো ও গাজর গত সপ্তাহের মতোই ১৪০-১৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০-৭০ টাকা, ঝিংগা ৭০-৮০ টাকা, মুলা ৩০-৪০ টাকা, ফুলকপি ১২০-১৩০ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) ৫০-৬০ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা হালি, চিকন বেগুন ৭০-৮০ টাকা থেকে কমে ৫০-৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৭০-৮০ টাকা থেকে কমে ৬০-৭০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, বরবটির ৭০-৮০ টাকা, শিম ১৬০-১৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮০-২০০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, শসা আগের মতোই ৩০-৪০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ৩০-৫০ টাকা, কচুরলতি ৫০-৬০ টাকা, কচুর ২৫-৩০ টাকা, লেবুর হালি ২০-২৫ টাকা, ধনেপাতা ২৫০-৩০০ টাকা থেকে কমে ১৮০-২০০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে দেশি আদা ১৪০-১৬০ টাকা, আমদানি করা আদা ১৮০-২০০ টাকা, দেশি রসুন আগের মতোই ১০০-১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৮০-২০০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতো ৩৫০-৪০০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৫-২০ টাকা, শিল আলু ৪০-৪৫ টাকা, ঝাউ আলু ৪০-৪৫ টাকা, দেশি সাদা আলু ২৫-৩০ টাকা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। স্টেশন বাজারের সবজি বিক্রেতা আকমল হোসেন বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ সামান্য পরিমাণে আসতে শুরু করেছে। সামনে যত দিন যাবে ততই শীতকালীন সবজির আমদানি বাড়বে। এতে সবজির দাম কিছুটা কমতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।

তবে গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম বেশি একটা হেরফের হয়নি। মুরগির বাজারে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৯০-৩০০ টাকা, পাকিস্তানি হাইব্রিড জাতের মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৮০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের মতো ১৮৫-১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকা, মসুর ডাল (চিকন) ১৫০-১৬০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, খোলা চিনি ১১০ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটার দাম ৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪৫-৫০ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতোই স্বর্ণা (মোটা) ৪৮-৫০ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৭০-৭৫ টাকা, বিআর ২৯ চাল ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫-৯০ এবং নাজিরশাইল ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ৩০০-৩৮০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category