এর জেরে আজ সোমবার সকালে নিহত আরিফ ও ইমরান ঘুম থেকে উঠে তাদের বাড়ির সামনে গেলে শাহ কামালের নেতৃত্বে একদল লোক তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ও গুলিবর্ষণ করে। এতে আরিফ ও ইমরান গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ ইমরানকে গুরুতর আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রুহুল আমিন জানান, দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয়রা। তাদের মধ্যে আরিফ হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা যান। অপরজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান ফকির বলেন, দুই পক্ষ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ইউনিয়নের আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে জড়িয়েছে তারা। এর আগেও তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন সমকালকে বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে না অন্য কোনো কারণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। সংঘর্ষে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।