আহত ব্যক্তির নাম লিটন কুমার চৌধুরী। তিনি জনকণ্ঠের সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রতিনিধি ও সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। সীতাকুণ্ড থানার ওসি মজিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাতে কয়েক জন লোক উনাকে থানায় নিয়ে আসেন। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।”
সাংবাদিক লিটনের ওপর হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, মব সৃষ্টি করে কয়েকজন ব্যক্তি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। সেখানে বলতে শোনা যায়, আওয়ামী লীগের বড় দালাল ধরা পড়েছে। সীতাকুণ্ডের সাংবাদিক। মিথ্যা নিউজ ছড়িয়ে মানুষের জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে।
‘আওয়ামী লীগের দালাল, একে মার’ বলতে বলতে কিল ঘুষি মেরে তাকে রক্তাত করা হয়। এসময় একজনের কণ্ঠে লিটন কুমারকে থানায় দিয়ে দিতে বলতে শোনা যায়। আহত লিটন চৌধুরীর ছেলে রাকেশ চৌধুরী বলেন, “আমার পড়াশোনার জন্য বাবা শহরে বাসা ভাড়া নিয়েছে। সেখানে আমরা পুরো পরিবার থাকি। কালী পূজা উপলক্ষ্যে আমরা সবাই বাড়িতে গিয়েছিলেন।”
হামলার ঘটনা বর্ণনা দিয়ে রাকেশ বলেন, “রাতে বাবা ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে মোবাইল দেখছিলেন। এসময় এক যুবক এসে অন্যদের ডেকে আনে এবং মারধর শুরু করে। “এসময় তারা বাবাকে মারতে মারতে একদিকে নিয়ে যায়। আমি ও আমার জ্যাঠাত ভাই বাবাকে রক্ষা করতে গেলে তারা আমাদেরও মারধর করে।”
লিটনকে মারধর করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “আহত অবস্থায় আমার বাবাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
অভিযুক্তদের বিচার দাবি করে সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবে সভাপতি এস এম ফোরকান আবু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যারা লিটন চৌধুরীর ওপর হামলা করেছে, তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। ভিডিওতে সবার ছবি পরিষ্কারভাবে দেখা গেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন তিনি।