ইউসিবির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববার ঢাকার অর্থঋণ আদালত-৫ এর বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন। আদালতের বেক্সিমকো গ্রুপের পক্ষে কেউ অংশ নেননি বলে জানা গেছে।
অর্থঋণ আদালত আইনের ৬(৪) ধারা অনুযায়ী, ব্যাংকের হলফনামাকে মৌলিক সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে আদেশ দেন আদালত। ঋণ পরিশোধের আদেশ দেওয়ার তালিকায় রয়েছেন বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ সোহেল ফসিহুর রহমান (এএসএফ রহমান), পরিচালক ইকবাল আহমেদ, ওসমান কায়সার চৌধুরী, আবু বকর সিদ্দিকুর রহমান এবং রীম এইচ শামসুদ্দোহা। বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এএসএফ রহমান বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন। সালমান এফ রহমান রয়েছেন কারাগারে।
আদালতে উপস্থাপিত নথিপত্র অনুযায়ী ইউসিবির গুলশান করপোরেট শাখা থেকে ২০১৯ সালে ২৫০ কোটি টাকার চলতি মূলধন ঋণ নেয় বেক্সিমকো। ঋণ পরিশোধ না করে কয়েক দফা সীমা বাড়িয়ে নিয়মিত রাখা হয়। ২০২২ সালে দুই কোটি ৬৭ লাখ টাকার সুদ মওকুফ সুবিধা দিয়ে ৩২২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা পুনঃতপশিল করা হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে আবার ৩৩৪ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতপশিল করা হয়। এরপরও ঋণ পরিশোধ না করায় গত জুনে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে ব্যাংক। এই ঋণের বিপরীতে পরিচালকদের ব্যক্তিগত গ্যারান্টি রয়েছে।
গত ২৭ আগস্ট একই আদালত থেকে জনতা ব্যাংকের ২০৭ কোটি টাকা ঋণখেলাপির মামলায় আসিফ অ্যাপারেলসের দুই মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাউদ্দিন আহমেদ এবং তাঁর ছেলে ও পরিচালক আসিফ সালাউদ্দিনের ৬ মাসের দেওয়ানি আটকাদেশ দেওয়া হয়।
আসিফ অ্যাপারেলস গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় অবস্থিত। রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠানটি জনতা ব্যাংকের জনতা ভবন করপোরেট শাখা থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করায় খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য জনতা ব্যাংক অর্থঋণ আদালতে মামলা করে। বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে কোনো টাকা আদায় না হওয়ায় কোম্পানির এমডি ও পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।