শনিবার (৬ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে এ অভিযোগ করেন সামিয়া।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক। তিনি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কে বা কারা আমার নাম ব্যবহার করে কল দিয়েছেন সেটি ওই শিক্ষার্থী ভালো বলতে পারবেন। ওই শিক্ষার্থীর কাছে যে নাম্বার থেকে কল দেওয়া হয়েছিল, সেই নাম্বারটি নিয়ে আমাকে দিন। এরপর খোঁজ নিয়ে বলতে পারব, বিষয়টি আসলে কি।’
ফেসবুক পোস্টে সামিয়া লিখেছেন, ‘আমি চাঁদপুরের মেয়ে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। কিছুক্ষণ আগে আমার ফোনে একটি কল আসে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতির পক্ষ থেকে। আমাকে বলা হলো যেন ৯ তারিখ ছাত্রদলের প্যানেলে ভোট দিই। কিন্তু আমার ভোট আমি নিজেই দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। একজন জেলার বিএনপি সভাপতি কি আমার ভোট ঠিক করে দেয়ার অধিকার রাখে?’
এসময় তিনি ব্যক্তিগত প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন ‘সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো—আমার নাম্বার কীভাবে একজন জেলার নেতার কাছে পৌঁছালো? আমার মনে হচ্ছে, শুধু আমাকে নয়, আরও অনেক মেয়েকেই কল দেয়া হয়েছে ছাত্রদলকে ভোট দেয়ার জন্য। এটা শুধু প্রাইভেসির লঙ্ঘন নয়, নারীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্যও গুরুতর ঝুঁকি।
ভবিষ্যতে হুমকির শঙ্কার কথাও উল্লেখ করে সামিয়া জানান, ‘আজকে তারা আমায় ভোট দেয়ার জন্য কল দিলো, আমি পোস্ট দেয়ার পর কাল যে আমায় হুমকি দিয়ে ফোন দিবে না—এর নিশ্চয়তা কী? আমার নিরাপত্তা ও প্রাইভেসি নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন’।
ছাত্রদলের প্রতি ইঙ্গিত করে সামিয়া বলেন, ‘ছাত্রদলের ভোটের মাঠ কি এতটাই ফাঁকা যে জেলার নেতাকর্মী দিয়ে ভোট চাওয়াতে হচ্ছে? এ ধরনের কর্মকাণ্ড কি তাদের ভোটের বাজারে দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করে না?