তিনি জানান, জুবায়েদ বর্ষার বাসায় টিউশনি করতে যেতেন। সেই সূত্রে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বর্ষা তখন মাহির রহমান নামের এক তরুণের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু জুবায়েদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ার পর মাহিরের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে তার।
তবে মাহিরকে ভুলতে পারেননি বর্ষা। একপর্যায়ে আবার তাদের যোগাযোগ শুরু হয়। এরপরই ২৩ দিন ধরে জুবায়েদকে হত্যার ছক কষে বর্ষা ও মাহির।
পুলিশ বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহির স্বীকার করেছে, প্রথমে জুবায়েদকে ভয় দেখানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বর্ষার চাপেই হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় সে। এবং নিজেই (বর্ষা) ছুরিকাঘাত করে জুবায়েদকে হত্যা করে।
রোববার বিকেলে বর্ষার বাসায় যাওয়ার সময় পথে মাহিরের সঙ্গে দেখা হয় জুবায়েদের। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
নিহত জুবায়েদ ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি।
ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার জুবায়েদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। পরে তাকে দাফন করা হয় গ্রামের বাড়িতে।