• শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:২১ অপরাহ্ন
  • |
  • |
Headline :
নুরুল হকের শারীরিক অবস্থার অবনতি, হাসপাতালে ভিড় না করার অনুরোধ ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত আফগানিস্তানে ত্রাণ পাঠাল বাংলাদেশ ডাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মাহিন সরকার গোপনে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে উড়াল দিয়ে দুবাই পৌঁছান থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভোটের প্রচারে কোনো পোস্টার থাকবে না, বিলবোর্ড সীমিত ভাঙ্গা-ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ আবদুল কাদেরের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ছাত্রদল সভাপতির তাপমাত্রা ও বৃষ্টি নিয়ে যে তথ্য জানাল আবহাওয়া অফিস হাসনাতকে উপহার পাঠানোর কারণ জানালেন রুমিন ফারহানা জামালপুরে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ‘বঙ্গলীগ’ প্রধানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

বর্ষার শুরুতেই যমুনা নদীতে ভাঙন; দিশেহারা নদীপাড়ের বাসিন্দারা

শিশির ইসলাম / ৫৫ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫

বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ভাঙন শুরু হয়েছে পাবনার বেড়া উপজেলার যমুনা নদীতে। গত প্রায় এক মাস ধরে এই ভাঙন অব্যাহত থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অন্তত ২০টি বাড়িঘর। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে দিশেহারা পরিবারগুলো। হুমকির মুখে রয়েছে একটি মসজিদ, একটি বিদ্যালয়সহ শতাধিক পরিবার।

পাবনার বেড়া উপজেলার পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের চর বক্তারপুর গ্রামে কৃষক হানিফ শেখের স্ত্রী আক্তার বানু। দুই ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে যমুনার পাড়ে বসবাস করেন প্রায় দুই যুগ। বর্ষা মৌসুম এলেই তাঁর কপালে দেখা দেয় চিন্তার ভাঁজ। সম্প্রতি সরেজমিনের গিয়ে দেখা যায়, নদীপাড়ে বসে তিনি ভাবছিলেন কিভাবে পরিত্রাণ পাবেন ভাঙন থেকে।

নদী পাড়ের বাসিন্দা আক্তার বানু জানান, গত তিনবছরে তিনবার তাদের ঘর হারিয়েছে যমুনার গর্ভে। এবারও একই চিন্তায় দিশেহারা তিনি। গেলো কোরবানীর ঈদের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে ভাঙন আতঙ্ক। শুধু ভয়ে থাকেন কখন না জানি আবার ভাঙন শুরু হয় আর ঘর সরানোর জন্য চিৎকার করতে হয়।

শুধু আক্তার বানু-ই নয়, তার মতো একই কান্না নদীপাড়ের অন্যান্য মানুষগুলোর। বক্তারপুর, চর বক্তারপুর, চর বুড়ামারা, সিংহাসন, আগবাকশো গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের দিন কাটছে ভাঙন আতঙ্কে। স্থানীয়রা জানান, ইতিমধ্যে গত একমাসে অন্তত ২০টি বাড়িঘর ও অর্ধশত বিঘা ফসলি জমি বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। ভাঙন ঝুঁকিতে একটি মসজিদ, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ শতাধিক পরিবার।

চর বক্তারপুর গ্রামের বাসিন্দা বেল্লাল শেখ, সেকেন বিশ্বাস জানালেন, ‘গেলো কোরবানীর ঈদের দিন নদীতে ভেঙে যায় কয়েকটি বাড়ি। বাধ্য হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন তারা। কেউবা ঘর ভেঙে রেখেছেন, কিন্তু নতুন করে ঘর তৈরী করতে পারছেন না অর্থাভাবে। বর্ষা মৌসুম আসলেই আতঙ্কে থাকতে হয়।’

শাজাহান আলী, নাদের শেখ, মামুন শেখ বলেন, ‘এই বয়সে তারা অন্তত ৬ বার এই নদী ভাঙন দেখেছেন। বর্তমানে যেখানে বসবাস করছেন তারা, আগে নদীর প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে বসতবাড়ি ছিল। নদী ভাঙতে ভাঙতে সেখান সরে এসেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে দাবি, ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে মানুষ বাঁচবে। তবে এবার একটা স্থায়ী ব্যবস্থা দরকার।’

ভুক্তভোগী রওশন বিশ্বাসের স্ত্রী জোসনা খাতুন বলেন, ‘শিশু সন্তান আর গাবাদি পশু নিয়ে নির্ঘূম রাত কাটাতে হয়। কতবার ঘর ভাঙবে আর কতবার করে সরিয়ে নেবো। গত কোরবানীর ঈদের দিনও ভাঙন হয়েছে। এলাকার লোকজনকে ডেকে ঘর দ্রুত সরিয়ে নিতে হয়। ঈদের দিন আমাদের রান্নাবান্না খাওয়া কিছুই হয়নি। এভাবে আর কতদিন।’

এ বিষয়ে বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) হায়দার আলী দৈনিক স্পষ্টবাদী কে বলেন, ‘কিছু ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শণ করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category