শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে পিরোজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। জাকারিয়া হোসেন সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত বুধবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি মোটরসাইকেলে করে সদর থেকে ইন্দুরকানীর দিকে যাচ্ছিলেন।
পথে বড় পোল এলাকায় জনসমাগম দেখে থামলে দেখতে পান, একটি কালো রঙের মাইক্রোবাস থেকে কয়েকজন ব্যক্তি চেয়ারম্যান শাহিনকে নামানোর চেষ্টা করছেন। তিনি ঘটনাটি দেখে সাহায্যের চেষ্টা করেন এবং পুলিশে খবর দিতে বলেন।
পরে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চেয়ারম্যান শাহিনকে থানায় নিয়ে যায়। জাকারিয়া দাবি করেন, তিনি পুলিশের গাড়ির পেছনে থানায় গেলে সেখানে গিয়ে উল্টো তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে তিনি চেয়ারম্যানের গতিপথ রোধ করেছেন।
পরবর্তীতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা হয় এবং চেয়ারম্যান লিখিতভাবে জানান যে, জাকারিয়ার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু পরে শাহিন হাওলাদার সংবাদমাধ্যমে জানান, তাকে মারধর করা হয়েছে এবং তার মোবাইল ফোন নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জাকারিয়া বলেন, অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
আমার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করতে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত দাবি করেন।অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পত্তাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং তারাই আমার মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে এবং আমাকে হেনস্থা করেছে। সংবাদ সম্মেলনে পত্তাশী ইউনিয়নের কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা উপস্থিত ছিলেন।