জগদ্ধাত্রী পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রবীর চন্দ্র সিকদার বলেন, এটি শুধু কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি আমাদের সামাজিক সম্প্রীতি ও বন্ধনের প্রতীক। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ একসঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেয়, এটাই আমাদের শক্তি ও গর্ব। কদমতলা ইউনিয়নের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সর্বস্তরের জনগনের সম্মিলিত সহযোগিতা না থাকলে আমরা এতবর আয়োজন করতে পারতামনা।
কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনিল কৃষ্ণ পাল জানান, শিশু ও কিশোরদের জন্য বায়োস্কোপ, রাধা চক্কর, গান-সংগীত ও ব্যান্ড শোসহ নানা বিনোদনমূলক কার্যক্রম থাকায় পুরো উৎসবটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল রফ শেখ বলেন, এই পূজা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এখানে অংশ নেয়, এটি এক প্রকৃত মিলনমেলা। উৎসব চলাকালে মেলা প্রাঙ্গণে প্রায় ২০০টি দোকান বসেছে; স্থানীয় ও বহুদূরের বিক্রেতারা অংশগ্রহণ করেছেন। মন্দির ও আশপাশের এলাকা বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত ছিল।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ টহল দেন এবং স্বেচ্ছাসেবকরা দর্শনার্থীদের সহায়তায় নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছেন। উদযাপন কমিটির নেতারা জানান, এবারের আয়োজনও প্রতি বছরের ন্যায় লক্ষ্যমাত্রা দর্শনার্থী আকর্ষণ করেছে, প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটে বলে তাদের বক্তব্য। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, দেবী জগদ্ধাত্রী, হলেন জগৎ মাতা, অশুভ শক্তির বিনাশ করে শান্তি, ঐক্য ও শক্তির বার্তা নিয়ে আসেন দেবী জগদ্ধাত্রী, যা সমাজে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ৩ নভেম্বর শেষ হবে এ বছরের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। তবে আয়োজক ও এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, পূজার শেষ হলেও এখানকার সামাজিক সম্প্রীতির বন্ধন সারাবছর অটুট থাকুক।