• শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন
  • |
  • |
Headline :
ফের সচিবালয়-যমুনা এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ নলছিটিতে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধের আলটিমেটাম জুলাই ঐক্যের শ্যামনগরে স্টুডেন্ট প্রোগ্রামে এ জনপদের লবনাক্তা মানুষের কথা শুনলেন জেলা প্রসাশক নতুন সরকারের মন্ত্রীদের জন্য কেনা হচ্ছে ৬০ মিতসুবিশি পাজেরো নলছিটিতে পাইলট কর্মসূচীর অবহিতকরণ সভা গোবিপ্রবিতে পাঞ্জেগানা মসজিদের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন ‘হুট করে একদিন চাকরি নাই, দুই-তিন মাস বাড়িতে বসে থাকা তো মানসিকভাবে বিরাট আঘাত’ জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা শ্রমিকদের ২৩ দফা মেনে নিলেন কতৃপক্ষ, কাজে ফিরলেন উত্তরা ইপিজেডের শ্রমিকরা

পাবনা শহরে ইছামতি নদী পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজ পর্ব-০১

মনছুর আলম / ৬৯ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫
পাবনা শহরে ইছামতি নদী খনন ও পরিস্কারকরণ কাজ পর্ব-০২

নিম্ন আদালতে আইনী জটিলতা থাকায় পাবনা শহরে ইছামতি নদী খনন কাজ ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে শহরের মধ্যে ৫কিলোমিটার নদী নিয়ে বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে। সূত্র মতে, পাবনা শহরাংশে ইছামতি নদী খনন ও উচ্ছেদ নিয়ে নিম্ন আদালতে বর্তমানে ৯৮টি মামলা চলমান রয়েছে। তবে আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুতই এই মামলাগুলোর নিষ্পিত্তি হবে।

কারণ গত শনিবার ০৫ জুলাই বাংলাদেশ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম পাবনা ইছামতি নদী পর্যবেক্ষণে আসেন এবং তিনি সরেজমিনে পাবনা শহরে সিংগা শ্মশাণ ঘাট থেকে ইছমতি নদীর ভোমরা কোল পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে দেখেন।

শেষে পাবনা জেলাপ্রশসকের সম্মেলন কক্ষে নদীর স্টেকহোল্ডারগণের সাথে কথা বলেন। উল্লেখ্য, এর আগেও ইছামতি নদী নিয়ে নিম্ন আদালতে মামলা জটিলতা নিরশনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গত ০৯ এপ্রিল পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জয়েন্ট সেক্রেটারি মাহ্ফুজা আক্তারকে পাবনা পাঠান।

তিনিও নিম্ন আদালতের এই চলমান মামলাগুলো নিরসনকল্পে স্টেকহোল্ডারদের সাথে কথা বলেন এবং মামলার নথিপত্র মন্ত্রণালয়ে নিয়ে যান। তিনি পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একজন আইনজীবি নিয়োগর তাগাদা দিয়ে পাবনা ত্যাগ করেন। সে প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জোর্জকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আবুল হোসেন জোয়ার্দারকে মোট ৯৮টি মামলা নিষ্পিত্তির জন্য অ্যাভোকেট নিয়োগ করেন। মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ থাকায় আশা করা যাচ্ছে লোয়ার কোর্টের মামলাগুলো খুব দ্রুতই নিষ্পত্তি হবে এবং শহরে ইছামতি খনন ও উচ্ছেদ কাজ শুরু হবে।
এদিকে পাবনা শহরে গত ০১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে ইছামতি নদীর ময়লা-আবর্জনা, কচুরিপানা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এবং অপসারণ কাজ। সূত্র হতে জানা যায়, শহরের চারটি পয়েন্টে এই পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এবং অপসারণ কাজ চলমান আছে।

এই চারটি পয়েন্ট হলো- সিংগা শ্মশাণ ঘাট, সিংগা রেলব্রিজ-বিশ^রোড ব্রিজ, সিংগা কাজী আলমের মসজিদের পাশে এবং আটুয়া-কৃষ্ণপুর এলাকা। এই কাজে সর্বমোট ২০টি এস্কেভেটর এবং প্রায় অর্ব শতাধিক ময়লাবাহী ট্রাক কাজ করছে। এমএস আহাদ বিল্ডার্সের প্রজেক্ট ম্যানেজার সাইদুল আলম প্রতিবেদকে জানান, বর্ষা মৌসুমেও নদী খনন কাজ চলমান থাকবে।

সুতিখালী চ্যানেলে ১৮টি ভেক্যু, ইছামতি নদী একদন্ত এলাকায় ০৮টি এবং গয়েশপুর এলাকায় ০৭টি ভেক্যু বর্তমানে নদী খনন কাজ করছে। তবে শহরে নদী খনন নিয়ে লোয়ার কোর্টে ৯৮টি মামলার জটিলতা থাকায় বিকল্প হিসেবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এবং ময়লা-আবর্জনা অপসারণ কাজ চলমান রয়েছে।

বিশ^স্ত সূত্র হতে আরো জানা যায়, ইছামতি নদীর এই মেগা প্রকল্পের মধ্যে ২৩টি ব্রিজ নির্মাণ/পুনঃনির্মাণ কাজের ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। ব্রিজগুলো ডিজাইনের কাজ চলমান রয়েছে এবং বর্তমানে সয়েল টেষ্ট চলছে। ২৩টি ব্রিজের মধ্যে ৪টি ব্রিজের সয়েল টেষ্ট ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলোর কাজও খুব দ্রত সম্পন্ন হবে বলে আশা যায়। তবে ব্রিজের ডিজানই হাতে পেলেই ব্রিজের কাজ শুরু হবে বলে জানান।
উল্লেখ্য, ইছামতি নদী পুনরুজ্জিবীতকরণ মেগা প্রকল্পের মধ্যে নদী খনন কাজ ১১০কিলোমিটার, শহরে নদীর উভয় তীরে ১০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ, রিটেনিং ওয়াল নির্মাণ, জ্রেনেজ নির্মাণ, ৫৬টি ঘাটলা নির্মাণ এবং ৪২ হাজার ৩১০টি বৃক্ষরোপণ করে শোভাবর্ধনের কাজ রয়েছে।

নদী খননে সার্বিক স্লোপ ধারা হয়েছে সর্বনি¤œ ১১.৫ মিটার। ইছামতি নদীর সকল জায়গায় জলা ধরা হয়েছে সর্বনিম্ন ২৫.৭ মিটার। তবে সিএস মনচিত্রে নদীর জায়গা কোথাও প্রসস্থ থাকলে সেখানে জলাও বেশি হবে। ইছামতি নদী এই প্রকল্পের কাজকে মোট ছয়টি স্লটে ভাগ করে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএস আহাদ বিল্ডার্স খনন কাজ করছেন এবং তত্ত্বাবধান করছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। কাজের শেষ সীমা ধরা হয়েছে ৩১ মার্চ ২০২৭ খ্রি. পর্যন্ত। ইছামতি নদী পুনরুজ্জিবীতকরণ এই মেগা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category