দীর্ঘদিনের মানধাতা আমলের ইজারা আদায় বিল্ডিং মুখ থুবড়ে পড়ে আছে । ব্যবহারের একেবারে অযোগ্য হওয়ায় চাটমোহরবাসী।
পাবনা চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম হাটে এসে পড়েছে বিপাকে ইজারাদার। খাজনা আদায়ের বসার একমাত্র জায়গা এখন বর্তমানে বাথরুমে পরিণত হয়েছে । রুমটির সম্পূর্ণ পলেস্তারা খসে পড়া সহ কক্ষটির দরজা জানালা ভেঙেচুরে যাওয়ার পাশাপাশি শৌচাগার ও ব্যবহারের অযোগ্য ।
প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে হাট ইজারা নিচ্ছে অথচ ইউনিয়ন পরিষদের সেবা ও ইউএনও কর্তৃক বিল্ডিং না দেওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে ইজারাদাররা । দীর্ঘ দুই যুগ পেড়িয়ে গেলেও চাটমোহর মূলগ্রাম হাটের ইজারা আদায় রুম মেরামত না করার ফলে একটু বৃষ্টি হলেই ইজারাদারা ভিজে যাচ্ছে ।
হাট ইজারামূল্যের প্রায় ৪০ শতাংশ ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে হাট উন্নয়নে কাজে লাগানোর জন্য বরাদ্দ করা হয় । এই বরাদ্দের টাকা দিয়ে দুই যুগেও হাট উন্নয়নের কোন কাজ করা হয়নি। এমনকি কোন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
বর্তমানে হাটের মধ্যে রাস্তা ও ড্রেন না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে যাচ্ছে । এতে হাটে আসা ক্রেতা তা বিক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছে । এর ফলে হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের আনাগোনা কমে যাচ্ছে যার প্রেক্ষিতে হাটের ইজারাদাররা অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে । এই নাজুক অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে হাটের ডাকের মূল্য কমে যাবে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে ।
এই হাটে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি সহ বিভিন্ন রবিশস্য ও ধান পাট ক্রয়-বিক্রয় হয় । যার ফলে সরকার এই হাট থেকে মোটা অংকের রাজস্ব পায় । কিন্তু হাটের অব্যবস্থাপনার কারণে ক্রেতা সাধারণরা অন্যহাটে চলে যাচ্ছে । তাই চাটমোহর ইউএনও কাছে এই হাটের ইজারাদারদের বসার স্থান তৈরি করা ও পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা সহ হাটে যাতায়াত রাস্তা নির্মাণ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ।
অন্যথায় হার্টের ক্রেতা বিক্রেতা চাটমোহর ইউএনও এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ইজারাদারগন।