জানা যায়, তিনি ইকো কোম্পানিতে নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন। তিনি সকালবেলা বাড়ি ফেরার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ঘটনাস্থলে নিহত হন। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও শতাধিক শ্রমিক। তাদের মধ্যে সদর হাসপাতালে মমিনুর (২৫), শাহিন (২৬), নুর আলম (৩০), মোস্তাক (২৬), লিপি (২৬), জামিলা খাতুন (৩৫) ও পথচারী রব্বানী (২৯) গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নীলফামারী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারহান তানভিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা বর্তমানে নীলফামারী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল সহ রংপুর হাসপাতালেও চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ইপিজেডের ভেনচুরা কারখানার সুপারভাইজার ও প্রত্যক্ষদর্শী মিলন বলেন, ‘এখানে সমস্যা এভারগ্রিনের না, সমস্যাটা হচ্ছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা)। কারণ, কোম্পানি চালায় বেপজা। ইপিজেডের ভেতরের ১৬টি কোম্পানি আছে, তা একই নিয়মে চলতে হবে। কিন্তু এভারগ্রিন তার উল্টোটা করে। তার মানে বেপজার শেলটারে এভারগ্রীন অনিয়ম করে চলছে। তাই এ ঘটনায় বেপজা
দায়ী।’
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আজ সকাল পৌনে ৯টার দিকে উত্তরা ইপিজেড থেকে সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা আসতে থাকে। তবে হাবিব নামের একজন শ্রমিক গুলিতে নিহত হয়। তার মরদেহের শুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ছাড়াও শতাধিক শ্রমিক আহত হয়ে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’
এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে জাতীয় নাগরীক পার্টি (এনসিপি) দলের নীলফামারী জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ ছুটে যান।
এদিকে দলটির কেন্দ্রীয় সহকারী মুখ্যসংগঠক আবু সাঈদ লিওন ও তাৎক্ষনিক ছুটে আসেন এবং শ্রমিকদের খোজ খবর রাখেন। প্রশাসনের সাথে বিষয়টি নিয়ে সমাধানের প্রস্তাব দেন।
শ্রমিকদের দাবী আদায়ের জন্য ও যৌথবাহিনী দ্বারা নিরিহ শ্রমিককে সরাসরি গুলি করে হত্যা করার প্রতিবাদে রাত ৮.০০টায় নীলফামারী এনসিপির জেলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন, দলটির কেন্দ্রীয় সহকারী মুখ্যসংগঠক আবু সাঈদ লিওন।এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ, মোহাইমিনুর রহমান সানা, আক্তারুজ্জামান, এ্যাড. নুর মোহাম্মদ, শাহ আজিজ সহ
নীলফামারী জেলা কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।