তিনি বলেন, আমার লাইফটা সম্পূর্ণ আলাদা। তারপরও মিডিয়ার সামনে আসতে বাধ্য হলাম। ৩০ তারিখ ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন আমি লাইভ দেখছিলাম। আমি কখনো কল্পনাও করতে পারিনি। স্তব্ধ হয়ে গেছি। কিছু বর্ণনা করার মতো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।
তিনি আরও করেন, এই বাংলাদেশে নুরের ওপর গত ৮ বছরে ফ্যাসিস্ট আমলেও এতটা নৃশংসভাবে হামলা হয়নি। ডাকসু নির্বাচনে তার ওপরে হামলা হয়েছিলো আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ছাত্রলীগ-যুবলীগদের দ্বারা। কিন্তু বর্তমানে প্রশাসনের এই সময়ে এসে এমন হামলা আমার কাছে কল্পনাতীত।
দেশের চিকিৎসায় সন্তুষ্ট নন, নুরকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার দাবি স্ত্রীর
মারিয়া নুর বলেন, নুরের শারীরিক অবস্থা এখনো ভালো নয়। শারীরিকভাবে এত আঘাত করা হয়েছে— ব্রেন, নাক, চোয়ালে আঘাত পেয়েছে। ভেতর থেকে মেরুদণ্ডসহ বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে। ডাক্তাররা বলছিলেন, ৩৬ ঘণ্টা অবজারভেশনের পর কিছু বলা যাবে। তার জ্ঞান ফিরেছে, কিন্তু শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। এখনো ডাক্তাররা বলছেন ৭২ ঘণ্টা না গেলে কিছু বলা সম্ভব নয়। তার মানে তিনি এখনো আশঙ্কামুক্ত নন।
তিনি আরও বলেন, এই শঙ্কার মধ্যে মিডিয়ার সামনে আসা সহজ নয়। কিন্তু ওর অবস্থা জানার জন্য আমি হাসপাতালে এসেছি। আমি আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে তার জন্য দোয়া চাইছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নেওয়ার ব্যবস্থা যেন করা হয়।