দুর্জয় চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডব্লিউএস কমার্স লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান ও পাকুটিয়া বৃন্দাবন চন্দ্র রাধা গোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. শাহজাহান সিরাজ। তার সাথে কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মো. ওয়াহিদুর সিরাজ বাপ্পী উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অব লিগ্যাল সার্ভিসেস অ্যান্ড পলিসি স্ট্যান্ডার্ডস (সিডিএলএসপি) এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আকিব আকবর খান চৌধুরী, দেওল মোড়া জি আর মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ইংরেজির প্রভাষক মো. রেজাউল হায়াত সৌরভ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও স্থানীয় স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি তরুণ উদ্যোক্তা ও শিক্ষার্থীরা এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। যারা ডব্লিউএস কমার্সের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, এ উদ্যোগ সাটুরিয়ার পাশাপাশি সারাদেশের তরুণ-তরুণীদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান ও আত্মনির্ভরতার পথ খুলে দেবে। ডব্লিউএস কমার্সের এ ধরনের উদ্যোগ তাদের শুধু চাকরির সুযোগই দেবে না, বরং উদ্যোক্তা হওয়ার প্রেরণাও যোগাবে বলে মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডব্লিউএস কমার্স’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মো. শাহরিয়ার সিরাজ বিপ্লব। তিনি তার বক্তব্যে কোম্পানির কার্যবিধি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডব্লিউএস কমার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান সিরাজ বলেন, ডব্লিউএস কমার্স কেবল একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নয়, বরং এটি তরুণদের স্বপ্ন পূরণের একটি পরিবার। আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। আমাদের প্রত্যাশা- বাংলাদেশ থেকে বিশ্ববাজারে মানসম্মত পণ্যের মাধ্যমে নতুন পরিচয় তৈরি করা।
সমাপনী বক্তব্যে ডব্লিউএস কমার্স লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মো. ওয়াহিদুর সিরাজ বাপ্পী বলেন, “আমরা সমাজের স্বল্পশিক্ষিত ও তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করছি। সুযোগের অভাবে ঝরে পড়া মানুষের গুপ্ত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সুন্দর জীবন গড়ে তুলছে আমাদের প্রতিষ্ঠান। চাকরির নিরাপত্তার জন্য আমরা পেনশন স্কিমের ব্যবস্থা রেখেছি।”
ডব্লিউএস কমার্স মূলত ই-কমার্স খাতে কাজ করছে এবং আমাজন, ওয়ালমার্টসহ বিভিন্ন মাল্টিভেন্ডর মার্কেটপ্লেসের সাথে অসংখ্য পণ্য বিক্রি করছে। ইতিমধ্যে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ২৫টি ব্র্যান্ড পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটি খুব শিগগিরই ঢাকা, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জে আরও শাখা অফিস চালু করবে। এছাড়াও প্রতিটি কর্মীকে পেনশন স্কিমের আওতায় এনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।