মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ‘জোবায়েদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশন করতেন। প্রতিদিনের মতো তিনি রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বংশাল থানার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নুর বক্স লেনের ১৫ নম্বর হোল্ডিং রৌশান ভিলায় বর্ষাকে প্রাইভেট পড়ানোর জন্য যান। সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে বর্ষা জোবায়েদ হোসেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই সৈকতকে ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে জানান যে, জোবায়েদ স্যার খুন হয়েছে। কে বা কারা খুন করেছে।’
রাত ৭টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. কামরুল হাসান মামলার বাদী জোবায়েদের ভাইকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি জানান। এনায়েত হোসেন সৈকত তার শ্যালক শরীফ মোহাম্মদকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলে ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থল রৌশান ভিলায় পৌঁছান।
মামলার বিবরণে এনায়েত হোসেন সৈকত বলেছেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে রৌশান ভিলা ভবনের নিচতলা থেকে উপরে উঠার সময় সিঁড়ি ও দেয়ালে রক্তের দাগ দেখা যায়। ওই ভবনের তৃতীয় তলার রুমের পূর্ব পাশে সিঁড়িতে গেলে সিঁড়ির ওপর জোবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উপুড় অবস্থায় দেখা যায়। সুরতহাল প্রস্তুত করার সময় তার গলার ডান পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনের কাছ থেকে জেনে এবং আশপাশের এলাকার সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে উল্লিখিত আসামিসহ অজ্ঞাত বিবাদীরা আমার ভাইকে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার ডান পাশে আঘাত করে হত্যা করেছে বলে নিশ্চিত হই।
তিনি আরও বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি। সোমবার আমাদের মানসিক অবস্থা ভালো না থাকায় মামলা করতে একদিন দেরি হয়েছে। মামলায় যারা প্রকৃত আসামি আমরা তাদের নাম উল্লেখ করেছি। আমরা চাই কোনো নির্দোষ ব্যক্তি যেন ফেঁসে না যায়। যারা প্রকৃত অপরাধী তারাই শাস্তি পাক। মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করেছি তাদের সকলকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা সুষ্ঠ বিচার চাই।