সবজির এই অতিরিক্ত দামে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতারা।
শুক্রবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে জেলার মেলান্দহ বাজার ও শহরের শফি মিয়ার বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির উচ্চমূল্যে ক্রেতাদের নাজেহাল অবস্থা। বাজারে লম্বা বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা, টমেটো ১১০ থেকে ১২০ টাকা, শসা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, সিম ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মিষ্টি লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ধুন্দল, ঝিঙা ও কাঁকরোল ৭০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাংসের বাজারেও বিরাজ করছে চড়া দাম।
গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় নাজেহাল হয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। শহরের শফি বাজারে বাজার করতে আসা নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সব কিছুর দাম বেশি। একদিনের বাজারেই তিন থেকে চারশ টাকা খরচ হয়।
৭০-৮০ টাকার নিচে কিছুই নেই।’
মেলান্দহ বাজারে রাজু নামের এক ক্রেতা জানান, ‘কয়েকদিন আগেও কাঁচা মরিচের দাম ছিল কেজিপ্রতি ২০০ টাকা। আজ কিনলাম ৩২০ টাকায়। এই দাম সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টকর।’
বিক্রেতাদের দাবি, টানা বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে।
তবে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে বাজারও স্বাভাবিক হবে বলে আশা তাদের।
এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস. এম. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজার নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।