পাবনার চাটমোহর উপজেলায় এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত জাহানারা খাতুন (৬০) উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের উথূলী গ্রামের বাসিন্দা এবং ফজলুর রহমানের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে নিজ বাড়ির অদূরে একটি লিচু বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়, বরং পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রোজা ছিলেন জাহানারা খাতুন। প্রচণ্ড গরমে অস্বস্তি বোধ করায় তিনি বাড়ির পাশে নিজস্ব কলাবাগানে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান, কয়েকটি কলাগাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এ নিয়ে প্রতিবেশী ও এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মিরাজ উদ্দিন এবং তার পরিবারের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জাহানারা খাতুনকে মারধর করা হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
এরপর তিনি বিচার চেয়ে বিভিন্ন স্থানে যান, কিন্তু কোথাও ন্যায়বিচার পাননি। সেই থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরদিন সকালে লিচু বাগানে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা এবং পুলিশে খবর দেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আরজুমা আক্তার, ওসি (তদন্ত) নয়ন কুমার সরকারসহ পুলিশের একটি দল। মরদেহ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের ছেলের বউ সেতু খাতুন অভিযোগ করে বলেন, “আমার শাশুড়িকে মিরাজ উদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজন মারধর করেছে। তিনি ন্যায়বিচারের জন্য অনেক জায়গায় গিয়েছেন, কিন্তু কোথাও বিচার পাননি। এরপর থেকেই তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা মিরাজ উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।”
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার আরজুমা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা প্ররোচনার ঘটনা হিসেবে ধরে নিয়ে একটি মামলা নেওয়া হবে।”
অত্যান্ত খারাপ একটা বিষয়, সাধারণ কলা গাছের জন্য খুনাখুনি পর্যন্ত হবে এটা বিবেকবান সমাজ মানতে পারছে না,
সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি জনগণের সামনে আনার অনুরোধ করছি।