অগ্নিকাণ্ডে ছাত্তার সরদারের দাবি, তার প্রায় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তার ৪০টি হাঁস, ৭০টি কবুতর, ৩টি ছাগল, ১২ মণ রসুন, দুটি হাঁসের খামার এবং বসতঘর সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়েছে।
অন্যদিকে রবিউল ইসলামের দুইটি বসতঘর, প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মণ রসুন, ১৫ মণ পাট এবং ১০টি হাঁস আগুনে পুড়ে গেছে। পরিবারের দাবি, জীবনের সমস্ত সঞ্চয় এক রাতেই শেষ হয়ে গেছে বলে দাবি করেন।
এছাড়াও আরও তিনটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, ফসল ও গৃহপালিত পশুপাখিও সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের ধারণা, গোয়ালের ভেতরে রাখা মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। আবার কেউ কেউ বলছেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেও এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে পানি ও বালতি ব্যবহার করে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালালেও ততক্ষণে সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মোট ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার সম্পদ এই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্তার সরদার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার সব শেষ হয়ে গেল। হাঁস, কবুতর, ছাগল, খামার—কিছুই রইল না। এক রাতেই নিঃস্ব হয়ে গেলাম।”
অন্যদিকে রবিউল ইসলাম জানান,
“সারা বছরের খরচ চালানোর জন্য যে রসুন আর পাট জমিয়েছিলাম, সব আগুনে শেষ। এখন সন্তানদের নিয়ে কোথায় যাব, কিছুই বুঝতে পারছি না।”
এদিকে রোববার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুসা নাসের চৌধুরী। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দ্রুত সরকারি সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে টিন ও খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। ৫টি পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কোন সুযোগ থাকলে বিবেচনা করা হবে
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো অবিলম্বে সরকারের সাহায্য ও পুনর্বাসন দাবি করেছেন।