তিনি জানান, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে চাকরি ছিল না তার। তবে মাস দু’য়েক আগে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের একটি বেসরকারি সংস্থায়। এখন এই সেপ্টেম্বরে মি. গালিবের মাসিক বেতন ৩৫ হাজার টাকা, অর্থাৎ তিন ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে বেতন। মি. গালিব বলেন, “বেতন প্রায় তিন ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে। অর্থনৈতিক আঘাত যেমন খুবই ম্যাসিভ, তেমনি সাইকোলোজিক্যাল যে আঘাত তাও খুবই ম্যাসিভ।”
মার্কিন সরকারের বেসামরিক বৈদেশিক সাহায্য প্রদানকারী সংস্থা ইউএসএইডের অর্থায়নের প্রকল্প নিয়ে কাজ করে এমন একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় সে সময় কাজ করতেন তিনি। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপরে অত্যাচারের অভিযোগে নানা স্লোগান লেখা ব্যানার ও প্লেকার্ডসহ কলকাতায় প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিয়েছে বেশ কিছু লোক, ফাইল ছবি
বাংলাদেশ-পাকিস্তানে ‘ধর্মীয় নিপীড়নের’ শিকার সংখ্যালঘুদের ভারতের নতুন আইনে ছাড়
প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে বলে গত জানুয়ারিতে প্রথমবারের মতো জানানো হয় তাদের। পরে সব প্রক্রিয়া শেষ করে তেসরা মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়ে যায় ওই প্রতিষ্ঠান।
“পরিবারে যেই প্রভাবটা পড়ে… ধরুন একজন মেয়ে দেখছে হাজবেন্ড এতো টাকা উপার্জন করে, মাস গেলে বেতন আসতেছে। তারপর হুট করে একদিন চাকরি নাই। দুই-তিন মাস বাড়িতে বসে থাকলো.. এটা তো মানসিকভাবে একটা বিরাট আঘাত” বলেন মি. গালিব।
বৈশ্বিক এ প্রেক্ষাপটে মি. গালিবের মতো চাকরি হারানোর উদাহরণ বাংলাদেশে হাজার হাজার।
এছাড়াও পাঁচই অগাস্টের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে শত শত শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী খাত হিসেবে পরিচিত গার্মেন্টস সেক্টরেও কারখানা বন্ধের ফলে শ্রমিকরা চাকরি হারিয়েছেন।
বকেয়া বেতন না দিয়েই কারখানা বন্ধের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।
এদিকে বড় ধরনের নতুন বিনিয়োগ না থাকায় কর্মসংস্থানের হার তেমন একটা বাড়েনি। কিন্তু জীবনযাপনের ব্যয় ঠিকই বাড়ছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সাথে সঙ্গতি রেখে চলতে গিয়ে আরও বেশি হিমশিম খেতে হচ্ছে উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া মানুষদের।