• বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৩২ অপরাহ্ন
  • |
  • |
Headline :
নলছিটিতে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধের আলটিমেটাম জুলাই ঐক্যের শ্যামনগরে স্টুডেন্ট প্রোগ্রামে এ জনপদের লবনাক্তা মানুষের কথা শুনলেন জেলা প্রসাশক নতুন সরকারের মন্ত্রীদের জন্য কেনা হচ্ছে ৬০ মিতসুবিশি পাজেরো নলছিটিতে পাইলট কর্মসূচীর অবহিতকরণ সভা গোবিপ্রবিতে পাঞ্জেগানা মসজিদের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন ‘হুট করে একদিন চাকরি নাই, দুই-তিন মাস বাড়িতে বসে থাকা তো মানসিকভাবে বিরাট আঘাত’ জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা শ্রমিকদের ২৩ দফা মেনে নিলেন কতৃপক্ষ, কাজে ফিরলেন উত্তরা ইপিজেডের শ্রমিকরা ভারত-চীন সম্পর্কে নতুন মোড় পাকিস্তানকে কী বার্তা দিচ্ছে

‘হুট করে একদিন চাকরি নাই, দুই-তিন মাস বাড়িতে বসে থাকা তো মানসিকভাবে বিরাট আঘাত’

স্পষ্টবাদী ডেস্ক / ২৪ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
'হুট করে একদিন চাকরি নাই, দুই-তিন মাস বাড়িতে বসে থাকা তো মানসিকভাবে বিরাট আঘাত'
'হুট করে একদিন চাকরি নাই, দুই-তিন মাস বাড়িতে বসে থাকা তো মানসিকভাবে বিরাট আঘাত'

গেল ফেব্রুয়ারিতেও এক লাখ তিন হাজার টাকা বেতন পেতেন সাদিক গালিব। ভ্যাট, ট্যাক্স কেটে ৮৯ হাজার ছয়শো টাকা তার পকেটে থাকতো। সে সময় তিনি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করতেন। কিন্তু বিয়ের দুই দিনের মাথায় চাকরি হারানোর খবর পান তিনি। ওই সময় চাকরি হারানো ঠিক কতটা ভয়াবহ ছিল তা “কাউকে বলে বোঝানো যাবে না” বলে বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন মি. গালিব।

তিনি জানান, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে চাকরি ছিল না তার। তবে মাস দু’য়েক আগে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের একটি বেসরকারি সংস্থায়। এখন এই সেপ্টেম্বরে মি. গালিবের মাসিক বেতন ৩৫ হাজার টাকা, অর্থাৎ তিন ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে বেতন। মি. গালিব বলেন, “বেতন প্রায় তিন ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে। অর্থনৈতিক আঘাত যেমন খুবই ম্যাসিভ, তেমনি সাইকোলোজিক্যাল যে আঘাত তাও খুবই ম্যাসিভ।”

মার্কিন সরকারের বেসামরিক বৈদেশিক সাহায্য প্রদানকারী সংস্থা ইউএসএইডের অর্থায়নের প্রকল্প নিয়ে কাজ করে এমন একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় সে সময় কাজ করতেন তিনি। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপরে অত্যাচারের অভিযোগে নানা স্লোগান লেখা ব্যানার ও প্লেকার্ডসহ কলকাতায় প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিয়েছে বেশ কিছু লোক, ফাইল ছবি
বাংলাদেশ-পাকিস্তানে ‘ধর্মীয় নিপীড়নের’ শিকার সংখ্যালঘুদের ভারতের নতুন আইনে ছাড়

প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে বলে গত জানুয়ারিতে প্রথমবারের মতো জানানো হয় তাদের। পরে সব প্রক্রিয়া শেষ করে তেসরা মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়ে যায় ওই প্রতিষ্ঠান।

“পরিবারে যেই প্রভাবটা পড়ে… ধরুন একজন মেয়ে দেখছে হাজবেন্ড এতো টাকা উপার্জন করে, মাস গেলে বেতন আসতেছে। তারপর হুট করে একদিন চাকরি নাই। দুই-তিন মাস বাড়িতে বসে থাকলো.. এটা তো মানসিকভাবে একটা বিরাট আঘাত” বলেন মি. গালিব।

বৈশ্বিক এ প্রেক্ষাপটে মি. গালিবের মতো চাকরি হারানোর উদাহরণ বাংলাদেশে হাজার হাজার।

এছাড়াও পাঁচই অগাস্টের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে শত শত শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী খাত হিসেবে পরিচিত গার্মেন্টস সেক্টরেও কারখানা বন্ধের ফলে শ্রমিকরা চাকরি হারিয়েছেন।

বকেয়া বেতন না দিয়েই কারখানা বন্ধের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।

এদিকে বড় ধরনের নতুন বিনিয়োগ না থাকায় কর্মসংস্থানের হার তেমন একটা বাড়েনি। কিন্তু জীবনযাপনের ব্যয় ঠিকই বাড়ছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সাথে সঙ্গতি রেখে চলতে গিয়ে আরও বেশি হিমশিম খেতে হচ্ছে উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া মানুষদের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category