পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আহত একটি মৃদু বিষধর কাল নাগিনী সাপের চিকিৎসায় অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে “এনিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালী”। বন্যপ্রাণীর প্রতি এমন সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতায় মুগ্ধ সচেতন মহল।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকালবেলা। পার্শ্ববর্তী আমতলী উপজেলার পূজাখোলা দফাদার বাড়ি সংলগ্ন এলাকায়, গ্রামবাসীরা কাল নাগিনী সাপটিকে লাঠিপেটা করছিল। খবর পেয়ে এনিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালী (কলাপাড়া শাখা) দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাপটিকে উদ্ধার করে।
রাত ১০টার দিকে পৌরশহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সাপটির এক্স-রে করা হয়, যা এ অঞ্চলে সম্ভবত প্রথমবারের মতো ঘটনা। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, সাপটির দেহের মাঝ বরাবর হাড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে।
ভেটেনারি সার্জনের পরামর্শে চলছে চিকিৎসা পরিকল্পনা
কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসীন সাদিক মহোদয়ের সহায়তায় সাপটির এক্স-রে করানো হয় বলে জানান এনিমেল লাভারসের টিম লিডার বায়জিদ আহসান। তিনি বলেন:
“সাপটিকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। এখন উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ভেটেনারি সার্জনের কাছে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
সচেতনতার নতুন বার্তা দিল এই উদ্যোগ
সবুজ, লাল ও কালো ডোরাকাটা প্রাপ্তবয়স্ক সাপটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ ফুট। অনেকেই অবাক হয়ে দেখেছেন কীভাবে একটি সাপকেও মানবিক মর্যাদা দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রাণবিক এই উদ্যোগ প্রাণী অধিকার এবং বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে এক সাহসী বার্তা দিয়েছে।
বন্যপ্রাণী রক্ষা শুধু আইনগত দায়িত্ব নয়, এটি আমাদের মানবিক দায়। এই ঘটনা প্রমাণ করে, প্রকৃতির প্রতিটি প্রাণীর জীবন মূল্যবান। আমরা এনিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালী এবং কলাপাড়ার প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই এবং অন্যান্য অঞ্চলেও এমন সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাই।