• বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০২:১৭ অপরাহ্ন
  • |
  • |

কালীগঞ্জ গ্রামীণ অবকাঠামো বাস্তবায়ন উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

আব্দুল কাদের, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি / ৭ Time View
Update : বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫
কালীগঞ্জ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ
কালীগঞ্জ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ

সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার গ্রামীণ অবকাঠামো বাস্তবায়ন উন্নয়ন প্রকল্পে ২০২৪ – ২৫ অর্থ বছরে ব্যাপক অনিয়ম—দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অনেকগুলো প্রকল্প কাগজে—কলমে থাকলেও বাস্তবে কাজ থেকেও নেই।

স্থানীয় কয়েক জন জানায়, কালীগঞ্জ উপজেলার ১২ টা ইউনিয়নে মধ্যে প্রায় ইউনিয়নে টিআর, কাবিখা—কাবিটাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় কোটি কোটি টাকা সরকারি বরাদ্দ আসে। এসব বরাদ্দ দিয়ে উপজেলার ১২’টি ইউনিয়নে রক্ষণাবেক্ষণ, সংস্কার ও নির্মাণকাজ বাস্তবায়িত হওয়ার কথা থাকলেও অনেক যায়গায় উন্নয়ন হয়নি।

কিছু ইউপি সদস্যরা প্রকল্প অফিসের স্বপন এর মাধ্যমে পি, আই ,ও কাছ থেকে কাজ বাগিয়ে নিয়ে ভাগাভাগি করে নেয় বলে জানায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন গুলোতে ঘুরে এসব উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজে নানা অনিয়ম—দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগ ওঠে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের স্বপন এর বিরুদ্ধে। স্বপন ঐ অফিসে চাকরি না করলেও সবকিছু তার নিয়ন্ত্রিত এমনটা বলেন একাধিক প্রকল্প সভাপতি।

এলাকার একাধিক মানুষ বলেন, সকল অনিয়ম হয় উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা ও কর্মচারির মাধ্যমে। তারা বলেন, স্বপনের সহযোগিতায় প্রকল্পের কাজের মান মাঠ পর্যায়ে দেখভাল করেন উপজেলা প্রকল্প অফিসের কর্মকর্তারা। তারা টাকা পেলে সব অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করে। কারণ মাঠপর্যায়ে পরিদর্শন করার দায়িত্ব স্বপনকে দিয়ে রেখেছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমকর্তা মো: মফিজুর রহমান।

তাদের বিগত দিনগুলোতে যেভাবে কাজ হয়েছে এবারও তাই হয়েছে। উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নে এক রাস্তায় দুই প্রকল্প দিলেও কাজ সমাপ্ত করতে পারিনি এখনো, অথচ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ঠিকই রাস্তার সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে প্রকল্প সভাপতির।

আকবর হোসেন বলেন, আমার ঘেরথেকে দুইটা বাজেট হয়েছে, আমি যেখানে দাড়িয়ে আছি আমার দুই পাশে দুইটা পুকুর আছে এখান থেকে পিছনের তিনের দুই অংশ কাজ হয়েছে সামনে জলোশয়ের কারনে কাজ অসমাপ্ত রয়েছে ২ শ মিটারের মত। প্রকল্প সভাপতি ইউপি সদস্য মো: সুমন আহমেদ কাছে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

কাটুনিয়া আকবারের বাড়ির পাশ হতে আবুল হকের ঘের অভিমুখে মাটির রাস্তা সংস্কার ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ এবং একই রাস্তায়, কাটুনিয়া খাল পাড়ের মুখ হতে আকবারের ঘের অভিমুখে মাটির রাস্তা সংস্কার ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ। স্বপন বাবুর এর সাথে কথা বলার জন্য তার ব্যবহারিত ফোনে কল দিলে তিনি প্রথমে সাংবাদিক পরিচয় শুনে ফোন কেটে দেন এবং আবারো ফোনদিলে তিনি বলেন আপনার সাথে দেখা হলে কথা হবে, আপনি সন্ধ্যায় আসেন কথা হবে বলে ফোন কেটে দেন।

কদমতলা বাজারের পাশ হতে মনি ঘোষের বাড়ি অভিমুখে ইট সোলিং রাস্তা সংস্কার ২ লক্ষ ৫৮ বরাদ্দ। দৃশ্যমান কোন কাজ চোখে মেলেনি স্থানীয় কুদ্দুস আলী ও নিরা ঘোষ বলেন আপনারা এসেছেন দেখে যান, আপনারা তো দেখতে পাচ্ছেন। কি সংস্কার হয়েছে বাজারের মুখে ২৫ থেকে ৩০ ফুট ইটের নতুন সোলিং করেছে সেটাও দুই তিন নাম্বার ইট দিয়ে। বাকি রাস্তাগুলো কোন সংস্কার করেনি ওইভাবে আমাদের চলাচল করতে হচ্ছে।

আড়ংগাছা আব্দুর রউফের বাড়ির পাশ হতে মজিদ মোড়লের বাড়ি পযর্ন্ত মাটির রাস্তা সংস্কার ৩ লক্ষ ৩০ হাজার বরাদ্দ, তবে রাস্তার গোড়া থেকে মাটি কেটে উপরে লামছাম মাটি দিয়েছে সেইখানে আবারো সংস্কারের দাবি তুলেছে। সেটাও কিছু কিছু জায়গায় ভাঙ্গল সৃষ্টি হয়েছে।

৮নং ও ৩নং ওয়ার্ডের শিবপদ পালের বাড়ি হইতে রবিউলের ঘেরের নতুন রাস্তার পার্শ্ব দিয়ে জলবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন খননে বরাদ্দ ২ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা স্থানীয় শিবপদ বলেন রাস্তা বরাদ্দ হয়েছে এটা আমরা জানি তবে ড্রেন খনন বরাদ্দ হয়েছে এটা আমাদের জানার বাহিরে ড্রেন খনন হয়েছে কি না জানতে চাইলে বলেন আমি তো কোন খনন দেখছি না যেহেতু আমার বাড়ির সামনে দিয়ে ড্রেন খনন করার কথা বলছেন তো দেখেন আমার বাড়ির সামনে ড্রেন খনন হয়েছে কি না।

নামাজগড় দুর্গা মন্দিরের সম্মুখে মাঠ ভরাট ও সংস্কার বরাদ্দ ২ লক্ষ টাকা নামাজগড় দুর্গা মন্দিরের সভাপতি ও প্রকল্পে সভাপতি বলেন আলাপ আলোচনা করে প্রকল্প টাকা উঠানোর জন্য পাঁচ-সাত হাজার টাকার বালু দিয়ে মাঠটা ভরাট করেছি এবং ১ লক্ষ টাকা তুলতে পেরেছি আর ১ লক্ষ পরে দেবে বলছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমকর্তা মো: মফিজুর রহমান জানান, আমি প্রায় যায়গায় গিয়েছি যেসব জায়গায় কাজ হয়নাই সেই সব জায়গায় হাফ টাকা দিয়েছি, টাকা হাফ পে অডার করা আছে আমাদের এলাকায় চিংড়ি চাষ হয়তো বর্ষার সিজন সব জায়গায় পানি হয়েগেছে, দুর চার দশ জন কাজ করতে পারে নাই ওটা পে-অডার করা আছে। ডিসেম্বর এর ভিতর কাজ না করলে টাকা ফিরত চলে যাবে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা বলেন অর্থ বছর শেষে হলে কাজ করার কোন অফিসিয়াল ভাবে কোন নিয়ম নাই ।যদি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমকর্তা মো: মফিজুর রহমান বলেন ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ করা যাবে তাহলে সেটা তার ব্যক্তিগত কথা ।অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন আমার জানা নেই বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category