সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট ও দ্য জুইশ ক্রনিকালসের পৃথক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারে হামাস নেতাদের ফোন ট্র্যাক করে সেই অবস্থানে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। তবে হামাস নেতারা নামাজ পড়তে ফোন রেখে অন্য ঘরে থাকার কারণে প্রাণে বেঁচে যান।
মূলত, মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) কাতারে হামাস নেতাদের অবস্থান লক্ষ্য করে একের পর বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। গাজায় যুদ্ধবিরতি বন্ধ ইস্যুতে আলোচনার জন্য আবাসিক এলাকার একটি ভবনে অবস্থান করছিলেন হামাসের প্রধান খলিল আল হায়াসহ ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির নেতারা। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান হামাসের কিছু নেতারা।
তাদের অবস্থান করা ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ক্ষতি হয়নি হামাস নেতাদের। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, হামাস নেতাদের ফোন ট্র্যাক করে তাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয় ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা। এরপরই চালানো হয় হামলা।
তবে প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে প্রাণে বাঁচলেন হামাস নেতারা? বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, মোবাইল ফোন রেখে অন্যত্র নামাজ আদায় করতে যান তারা। মোবাইলের অবস্থান লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা করা হয় ইসরায়েলি বিমান থেকে। অন্যত্র অবস্থানের ফলে বিমান হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান হামাস নেতারা।
মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলি হামলার ঘটনা নতুন নয়। এর আগে ইরানেও একইভাবে হামলা চালায় ইসরায়েল। যাতে প্রাণ যায় হামাসসহ শীর্ষ ইরানি কর্মকর্তাদের।