• সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:২০ অপরাহ্ন
  • |
  • |
Headline :
কর্মরত প্রতিনিধি না রেখে চূড়ান্ত হচ্ছে পুলিশ কমিশন স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি’রা নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে -বিএনপি নেতা সেলিমুজ্জামান টাইফয়েড টিকাদানে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে “TCV Vaccination Campaign 2025” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত সরাইল ব্যাটালিয়ন ২৫ বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমান চোরাচালানী মালামাল এবং মাদকদ্রব্য আটক নীলফামারীতে ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের চলাচল নদী দখল-দূষণকারীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবি নদীকর্মী ও বিশেষজ্ঞদের গুইমারায় শিম চাষে ভিডিপি সদস্যদের ভাগ্যবদল ইলিশ কেনাবেচায় সরগরম চাঁদপুরের মাছঘাট ক্ষেতলালে করলা চাষে সফলতা, লাভ বাড়ছে কৃষকের পাবনায় বাঁশবোঝাই ট্রাক উল্টে দুই শিশু শিক্ষার্থীসহ নিহত তিন

কর্মরত প্রতিনিধি না রেখে চূড়ান্ত হচ্ছে পুলিশ কমিশন

Reporter Name / ২২ Time View
Update : সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫
কর্মরত প্রতিনিধি না রেখে চূড়ান্ত হচ্ছে পুলিশ কমিশন
কর্মরত প্রতিনিধি না রেখে চূড়ান্ত হচ্ছে পুলিশ কমিশন

কর্মরত পুলিশ সদস্যদের প্রতিনিধি না রেখেই পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে সরকার। এতে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, বর্তমানে যে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে, সে আলোকে গঠন হলে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তবে দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, কমিশনের শতভাগ নিরপেক্ষতার স্বার্থে কর্মরত সদস্যদের প্রতিনিধি রাখা হয়নি।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ খসড়া চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত ভেটিং শেষে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। খসড়ায় পুলিশের কর্মকাণ্ডে দায়মুক্তির বিষয়টি রাখা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা আইজিপির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করে তাদের চাহিত বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন।

পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ জারির অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের ডিআইজি কাজী জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘আমরা অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে গেছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে।’

স্বাধীন পুলিশ কমিশনে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের প্রতিনিধি রাখা হয়নি কেন? জানতে চাইলে পুলিশের একজন ডিআইজি  বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে যেসব পুলিশ কমিশন আছে সেখানে কর্মরতদের রাখা হয় না। কর্মরত সব পুলিশ যেহেতু কমিশনের নজরদারিতে থাকবেন; তাই নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতার স্বার্থে কর্মরতদের প্রতিনিধি বা কর্মরত কাউকে কমিশনে সদস্য হিসেবে রাখার প্রস্তাব করা হয়নি। অবসরপ্রাপ্তদের সদস্য রেখে দিয়েই অধ্যাদেশের খসড়া করা হয়েছে।’

একজন ডিআইজি কর্মরতদের প্রতিনিধি না রাখার বিষয়টির ব্যাপক সমালোচনা করেন। তিনি  বলেন, “যারা পুলিশ নিয়ে কাজ করবে সেখানে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের প্রতিনিধি রাখা না হলে বিষয়টি হয়ে যাবে একতরফা। এতে কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, সেটি বাস্তবায়িত হবে না। কমিশনে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পুলিশ সদস্যদের প্রতিনিধি রাখা হলে স্বাধীন পুলিশ কমিশন অধিকতরও কার্যকর হতো। কিন্তু ‘নিরপেক্ষতা’র প্রশ্ন তুলে কর্মরতদের প্রতিনিধি না রাখা হতাশাজনক।”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, গত ৯ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাধীন পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন এটি আইন মন্ত্রণালয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অধ্যাদেশ আকারে জারি করার লক্ষ্যে পরবর্তী প্রশাসনিক উদ্যোগ নেবে। রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করার পরই বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করা হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, রাষ্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষে চলতি মাসেই পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করা হতে পারে।

এদিকে পুলিশ কমিশনের খসড়া চূড়ান্ত হওয়ার খবর পেয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুরক্ষাসহ কিছু সংশোধনী আনার প্রস্তাব করেছেন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা। ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ও নন-ক্যাডার পুলিশ কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা আইজিপির সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছেন। পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কামরুল হাসান তালুকদার কালবেলাকে বলেন, স্বাধীন পুলিশ কমিশন আমরা চাই।

এ বিষয়ে মাঠ পুলিশের কিছু নির্দিষ্ট দাবি-দাওয়া ও বক্তব্য রয়েছে। ৯ সদস্যের প্রস্তাবিত কমিশনে পুলিশ প্রতিনিধি মাত্র দুজন। তাদেরও নেওয়া হবে অবসরপ্রাপ্তদের মধ্যে থেকে। আমরা কর্মরত প্রায় আড়াই লাখ নন-ক্যাডার পুলিশের পক্ষ থেকে কমপক্ষে একজন সদস্য রাখার দাবি করছি। কর্মরত ক্যাডার কর্মকর্তাদেরও রাখার দাবি জানই। তিনি আরও বলেন, ‘পেনাল কোডের ৭৬ থেকে ১০৬ ধারায় পুলিশের দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়নি।

ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই পুলিশের বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়েও পুলিশকে মামলার আসামি করা হচ্ছে। পুলিশি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশে কর্মরত পুলিশের সুরক্ষা থাকা জরুরি। যেন পুলিশের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো মামলা করা না যায়।

কেউ পুলিশের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কমিশনে অভিযোগ দেবেন। কমিশন অনুসন্ধান করে অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পেলে মামলাসহ প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবে। কামরুল হাসান আরও বলেন, আমরা আইজিপি মহোদয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরেছি। পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন থেকেও কিছু প্রস্তাব ও দাবি তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলোর কোনো প্রতিউত্তর বা জবাব পাওয়া যায়নি।’

পুলিশ কমিশনের অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘পুলিশ কমিশন’ নামে এ সংস্থাটি হবে একটি সংবিধিবদ্ধ, স্বাধীন ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। কমিশনের নিজস্ব দপ্তর, বাজেট ও জনবল থাকবে এবং এটি স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। কমিশনের প্রধান কার্যালয় থাকবে ঢাকায়। পুলিশ কমিশনের মাধ্যমে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি, অভিযোগ তদন্ত এবং প্রশাসনিক সংস্কার কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

অধ্যাদেশের খসড়া অনুযায়ী, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার রক্ষায় পুলিশ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ; নাগরিক অভিযোগ ও পুলিশ সদস্যদের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা থাকবে। নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলি সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি এবং পরামর্শ দেবে।

পুলিশের আইনানুগ কার্যক্রমে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিধিবহির্ভূত বা অযাচিত প্রভাব বিস্তার করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশ বা সুপারিশ দেবে। আটক, জিজ্ঞাসাবাদ ও বলপ্রয়োগ সংক্রান্ত পুলিশি কার্যক্রমের নিয়মিত নিরীক্ষা, আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর পুলিশ গঠনে সুপারিশ করবে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পুলিশি কর্মকাণ্ড তদারকি, জনআস্থা বৃদ্ধির জন্য গণশুনানি ও পরামর্শ সভা আয়োজন; পুলিশের কার্যক্রম ও জননিরাপত্তা সংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

যেভাবে গঠন হবে পুলিশ কমিশন

কমিশনে মোট সদস্য থাকবেন ৯ জন। এর মধ্যে একজন চেয়ারম্যান, একজন সদস্য সচিব, পাঁচজন স্থায়ী সদস্য ও দুজন অস্থায়ী সদস্য থাকবেন। পুলিশ কমিশনের চেয়ারম্যান হবেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, আর সদস্য সচিব হবেন অবসরপ্রাপ্ত একজন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।

সদস্যদের মধ্যে থাকবেন জাতীয় সংসদের সংসদ নেতার একজন প্রতিনিধি, যিনি অস্থায়ী সদস্য হবেন। জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার প্রতিনিধি থাকবেন, তিনিও হবেন অস্থায়ী সদস্য। স্থায়ী সদস্য হবেন সচিব পদমর্যাদার নিচে নন—এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার নিচে নন—এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা, জেলা জজ পদমর্যাদার নিচে নন বা খ্যাতনামা আইনজীবী (যিনি অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন), বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি ও ক্রিমিনাল জাস্টিস বিষয়ের একজন অধ্যাপক, একজন খ্যাতনামা মানবাধিকার কর্মী (যার অন্তত ১৫ বছরের বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে)।

এ ছাড়া কমিশনে অন্তত একজন নারী সদস্য থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। স্থায়ী সদস্যরা বেতনভুক্ত হবেন, তবে অস্থায়ী সদস্যরা অবৈতনিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গঠিত বাছাই কমিটির সুপারিশে নিয়োগ পাবেন কমিশনের সদস্যরা।

কমিশনের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। বাছাই কমিটি হবে পাঁচ সদস্যের। যার সভাপতি হবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা উপদেষ্টা। অন্য সদস্যরা হচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি (প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত), জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একজন সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত একজন অধ্যাপক।

কমিশনের চেয়ারম্যানের মর্যাদা হবে আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান এবং সদস্যদের মর্যাদা হবে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমান। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতি বা পদ শূন্য থাকলে কমিশনের জ্যেষ্ঠ সদস্য কার্যভার পালন করবেন। দেউলিয়া, ঋণখেলাপি, দ্বৈত নাগরিক, ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত, দুর্নীতি বা অসদাচরণের কারণে বরখাস্ত এমন কেউ কমিশনের সদস্য হতে পারবেন না।

কমিশন যেসব কাজ করবে

কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো নাগরিকের অভিযোগ ন্যায়সংগত তদন্ত ও সমাধান নিশ্চিত করবে কমিশন। নাগরিকদের অভিযোগের তদন্ত, বিভাগীয় কমিটি গঠন, অভিযোগকারীর নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে অভিযোগ পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাও দেবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ, বৈষম্য, পদোন্নতি বা পদায়ন সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য কমিশন সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারবে। প্রয়োজনে বিভাগীয় বা রেঞ্জ পর্যায়ে কমিটি গঠন করবে।

অধ্যাদেশের খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, কমিশন পুলিশের নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়ন এবং মানদণ্ড নির্ধারণে সরকারকে দিকনির্দেশনা দেবে। কমিশন সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডে পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং ডিপার্টমেন্টাল প্রমোশন কমিটিতে অতিরিক্ত আইজিপিকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা প্রদান করবে এবং দক্ষ, পেশাদার ও প্রভাবমুক্ত পুলিশ বাহিনী গঠনে কৌশলগত দিকনির্দেশনা দেবে।

এ ছাড়া অধ্যাদেশের খসড়া অনুযায়ী আইজিপি পদে নিয়োগের জন্য সততা, মেধা, দক্ষতা, জ্যেষ্ঠতা ও সন্তোষজনক চাকরির ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপির নিম্নপদস্থ নন—এমন তিন (তিন) জন কর্মকর্তার একটি প্যানেল নাম সরকারের কাছে সুপারিশ করবে কমিশন। নিয়োগপ্রাপ্ত আইজিপির মেয়াদ হবে কমপক্ষে দুই বছর এবং সর্বোচ্চ তিন বছর।

পুলিশ কমিশন আধুনিক পুলিশিং, সাইবার নিরাপত্তা, ফরেনসিক, আইটি, মানবিক আচরণভিত্তিক প্রশিক্ষণ, নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রমে দিকনির্দেশনা দেবে। পুলিশ আইন, ফৌজদারি আইন, রেগুলেশন, প্রবিধান ইত্যাদির পর্যালোচনা ও সংস্কারের প্রস্তাব করবে।

জনগণ-পুলিশ আস্থা বৃদ্ধিতে প্রস্তাবিত কমিশনে গণশুনানি, পরামর্শসভা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম আয়োজন করে পারস্পরিক বিশ্বাস পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে অধ্যাদেশের খসড়ায়। প্রতি বছর কমিশন একটি বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করবে, যেখানে তাদের কর্মকাণ্ড, সুপারিশ ও সাফল্যের বিবরণ থাকবে। এই প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা হবে এবং তিনি তা জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের জন্য স্পিকারের কাছে পাঠাবেন।

যা বললেন আইজিপি
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ও পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন দাবি প্রসঙ্গে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, মাঠপর্যায়ে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা তাদের দাবিগুলো বলেছে। এই মুহূর্তে এগুলোর বিষয়ে কিছু করার নেই। যেহেতু স্বাধীন পুলিশ কমিশনের একটি কাজ চলছে। স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন নিয়ে কাজ চলছে। আগে অধ্যাদেশ আসুক, এরপর পুলিশের দাবিগুলো পর্যালোচনা করা যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category