বুধবার সন্ধ্যায় ইন্দুরকানী থানা পুলিশ ঘটনা স্থান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে এবং ঘটনাটি তদন্ত করছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মিজান হোসেন রাজমিস্ত্রীর কাজে নিয়োজিত ছিলেন। অবসর সময়ে তিনি স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতেন।
প্রায় চার মাস আগে ট্রলার মালিক আঃ খালেক শেখের ছেলে মহারাজের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা নেয়া হয়েছিল বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। টাকা নেওয়ার পর থেকে তিনি বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার শাশুড়ির মৃত্যুর সংবাদে মিজান বাড়িতে ফিরে আসলে তাকে মহারাজ ও শাহীনের নেতৃত্বে কয়েকজন লোক মহারাজের বাড়িতে আটকিয়ে রাখে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মাহারাজের মা নেহেরুন বেগম বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না।
বুধবার বিকেলে বাড়ি এসে খোঁজ পেলে ঘরের দোতলায় অচেতন অবস্থায় মিজানকে দেখতে পাই। পরে স্থানীয়রা এসে তাকে মৃত্যুবরণ করে পাওয়া যায়। বাড়ীতে থাকা মহারাজের স্ত্রী জানান, বাড়িতে তার ছাড়া আর কেউ ছিল না; মিজান বার বার বমি করেছিলেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে দোতলায় বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল।
ইন্দুরকানী থানার এসআই প্রশান্ত বালা বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে; প্রকৃত কারণে তদন্ত চলছে। তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।